মতিহার বার্তা ডেস্ক : ‘লাখো শহীদ স্মরণে, লাখো প্রদীপ জ্বালো’ স্লোগানে বগুড়ায় লাখো প্রদীপ জ্বালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে নানা শ্রেণি-পেশার লাখো নারী-পুরুষ অংশ নেন।
জেলা শহরের চারটি স্থানসহ ১১টি উপজেলায় পৃথক পৃথকভাবে শহীদদের স্মরণে এ আলোক প্রজ্জ্বলন করা হয়।
সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে বগুরা শহরের ঐতিহ্যবাহী আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে মোমবাতি জ্বালিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. মোখলেসুর রহমান।
এসময় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে মোখলেসুর রহমান বলেন, পাকিস্তান এসে দেখে যাও কীভাবে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষকে একত্রে নিয়ে বসবাস করতে হয়। একাত্তরে যেমন বাঙালি গর্জে উঠেছিল, এবারও তেমন জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ পুলিশের রাইফেল গর্জে উঠেছে। বাংলাদেশ জিতেছে, বাংলাদেশ জিতবেই।
অনুষ্ঠানে বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মেদ, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁঞা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার রুহুল আমিন বাবলু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এরপর পর্যায়ক্রমে ওই মাঠসহ অন্যান্য স্থানে উপস্থিত লাখো মানুষ তাদের হাতের মোমবাতি জ্বালান। আগাম ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেকে মোমবাতি নিয়ে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় প্রজেক্টরের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃসংতার ছবি ও বর্ণনা তুলে ধরা হয়।লাখো প্রদীপ জ্বালিয়ে শহীদদের স্মরণ বগুড়ায়, ছবি: আরিফ জাহানজেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, ২৫ মার্চ কালরাতে পুলিশ বাহিনীর সশস্ত্র প্রতিরোধের সেই গৌরবোজ্জ্বল অবদান ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এ ধরনের আয়োজন।
তিনি আরও জানান, বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ ছাড়াও পাশের জিলা স্কুল, মাটিডালি, সদর উপজেলা চত্বর, বেসরকারি সংস্থা টিএমএএস চত্বরসহ জেলার বাকি ১১টি উপজেলা সদরে স্কুল-কলেজ ও খেলার মাঠে প্রদীপ জ্বালো কর্মসূচি পালন করা হয়।
এই কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এবং পেশাজীবী ও শ্রমজীবী সংগঠন।
মতিহার বার্তা ডট কম ২৫ মার্চ ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.