শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
প্রথমবারের মতো আখের সাথী ফসল হিসেবে বোরো ধান চাষ

প্রথমবারের মতো আখের সাথী ফসল হিসেবে বোরো ধান চাষ

প্রথমবারের মতো আখের সাথী ফসল হিসেবে বোরো ধান চাষ
প্রথমবারের মতো আখের সাথী ফসল হিসেবে বোরো ধান চাষ

অনলাইন ডেস্ক: দেশে প্রথমবারের মতো আখের সাথী ফসল হিসেবে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। ঈশ্বরদীতে অবস্থিত বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিউট ইতোপূর্বে আখের সাথী ফসল হিসেবে সবজি ও মসলার চাষ করলেও এবারেই প্রথম টেকনোলজি ব্যবহার করে ধান চাষ শুরু করেছে। এক কেজি ধান উৎপাদনে খরচ হয় আড়াই হাজার লিটার পানি। আর আখ খরা সহিষ্ণু। এই দুই বিপরীত বৈশিষ্ট্যের ফসল একসঙ্গে চাষের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন সুগারক্রপের বিজ্ঞানীরা।

এই যৌথ ফসল পরীক্ষামূলকভাবে আবাদ করে সফলতা এসেছে। ফলনও ভালো পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন এই প্রকল্পের ইনচার্জ ড. আনিসুর রহমান। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বেড পদ্ধতি ও সরাসরি আবাদ দুইভাবেই আখ ও ধান একসঙ্গে চাষ করা সম্ভব। আর এতে ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকায় ভূগর্ভস্থ পানির প্রয়োজন নেই। এতে জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খরচও কম হবে। উদ্ভাবিত এই পদ্ধতি ও প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশের কৃষি ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।

বিএসআরআই-এর মহাপরিচালক ড. আমজাদ হোসেন জানান, হিসেব করে দেখা গেছে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে খরচ কমবে এক-তৃতীয়াংশ। এতে লাভবান হবে কৃষক। এবছরে আমরা সফল হয়েছি। ইনশাল্লাহ আগামী বছরে আমরা এই পদ্ধতি কৃষকদের ফিল্ডে নিয়ে যাব।

কৃষকরা জানান, এই অবস্থায় যদি দুই শস্যের আবাদ করা গেলে আমরা লাভবান হবো। অল্প পানিতে যদি আমরা ধান আবাদ করতে পারি সেটাই আমাদের জন্য বেশী উপকার হয়। আখের খরচ দিয়েই ধানের দুই-তৃতীয়াংশ খরচ মিটে যায়।

এদিকে শুক্রবার (২০ মে) বিএসআরআই-এর আয়োজনে এই প্রযুক্তির উপর মাঠ দিবস ও মিলনায়তনে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাস। সভাপতিত্ব করেন বিএসআরআই-এর মহাপরিচালক ড. আমজাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের পরিচালক আশরাফ আলী, ডাল গবেষণার পরিচালক ড. মহিউদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক তৌফিকুল আলম, ধান গবেষণার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফজলুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদ্ভাবক ড. আনিসুর রহমান।

মতিহার বার্তা/এমআরটি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply