শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
বৃষ্টি নেই চাঁপাইনবাবগঞ্জে, শুকিয়ে কাঠ আমন ক্ষেত

বৃষ্টি নেই চাঁপাইনবাবগঞ্জে, শুকিয়ে কাঠ আমন ক্ষেত

বৃষ্টি নেই চাঁপাইনবাবগঞ্জে, শুকিয়ে কাঠ আমন ক্ষেত
বৃষ্টি নেই চাঁপাইনবাবগঞ্জে, শুকিয়ে কাঠ আমন ক্ষেত

অনলাইন ডেস্ক: মাঝ বর্ষাতেও বৃষ্টির দেখা নাই। খরায় পুড়ছে বীজতলা। রোপা আমন আবাদ নিয়ে শঙ্কায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষকেরা। এদিকে প্রচণ্ড তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। চরম বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে না পারায় কমে গেছে আয় রোজগার।

চলমান প্রচণ্ড তাপদাহে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে রোপা আমনের জমি। সূর্যের প্রখর তাপে পুড়ে যাচ্ছে ধানের বীজতলা। কৃষকরা বলছেন, এই সময়টাতে রোপা আমনের জমি তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন তারা। জমিও প্রায় সিংহভাগ প্রস্তুত হয়ে যায়। অথচ মাঝ বর্ষাতেও বৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে অলস সময় কাটাতে হচ্ছে তাদের। আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনা অনেকটা হতাশায় ফেলেছে কৃষকদের।

গত জুন মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৭৫ মিলিমিটার। আর ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত হয়েছে মাত্র ১৭ মিলিমিটার । গত কয়েকদিনের তাপমাত্রাও ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এমন পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন চলবে।এরপর বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্বাভাবিক নিয়মে বৃষ্টি হলে এই সময়টাতে কৃষকরা আমনের জমি তৈরিতে ব্যস্ত থাকত। চারাগাছও প্রস্তুত। আবাদে খানিকটা দেরি হয়ে যাচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব রবিশস্যের উপর পড়ার সম্ভাবনা আছে। এবছর মৌসুমের শুরু থেকেই স্বাভাবিক বৃষ্টির দেখা পাচ্ছেনা কৃষক। তবে আবাদ মৌসুম শেষ হয়ে যায়নি। বৃষ্টি নির্ভর জমিগুলোর বীজতলা নিয়ে খানিকটা সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই পুরোদমে আবাদ শুরু করতে পারবে কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেয়া তথ্য মতে এবার জেলায় ৫২ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। অথচ ভরা বর্ষায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। তবে কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি আরম্ভ হয়ে গেলে চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা থাকবেনা বলেও জানায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

মতিহার বার্তা/এমআরটি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply