শিরোনাম :
রিজার্ভ কমে দুই হাজার কোটি ডলারের নিচে দাবদাহে পুড়ছে দেশ, আরো বাড়বে দিনের তাপমাত্রা হজের খরচ কমানো হয়েছে : ধর্মমন্ত্রী মধ্যরাত থেকে ইন্টারনেট সেবায় ধীরগতি, যা জানা গেল ঘুষখোর প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) যা বলেছেন প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া!
রাজশাহীতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়াই চরাঞ্চল থেকে নিরাপদে যাচ্ছে চরের বাসিন্দারা

রাজশাহীতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়াই চরাঞ্চল থেকে নিরাপদে যাচ্ছে চরের বাসিন্দারা

রাজশাহীতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়াই চরাঞ্চল থেকে নিরাপদে যাচ্ছে চরের বাসিন্দারা
ছবি সংগৃহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে, বিশেষ করে জেলার চারটি উপজেলার চরাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এরমধ্যেই তারা চরাঞ্চল ছাড়তে শুরু করেছেন। গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ৬০০ পরিবার চরাঞ্চল ছেড়েছেন বলে জানিয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বলেন, পদ্মার পানি বাড়লেও আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। রাজশাহী শহরে পানি প্রবেশের কোনো সম্ভাবনা নেয়। শহরের সঙ্গে সংযুক্ত সুইচ গেটগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে রাজশাহীর গোদাগাড়ী, পবা, বাঘা ও চারঘাট উপজেলার চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেগুলোতে বন্যায় ক্ষতি হবার আশংকা রয়েছে।

রাজশাহী ডিসি হামিদুল হক বলেন, সোমবার পর্যন্ত রাজশাহীর চারটি উপজেলার চররাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছিল। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত (মঙ্গলবার দুপুর ১২টা) ৬০০ পরিবারকে চরাঞ্চল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ কাজ অব্যাহত রয়েছে। সরিয়ে নেয়া লোকজনকে বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে তাদের অধিকাংশের উঁচু এলাকায় নিজের বাড়ি বা আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন। সেখানে গিয়ে তারা উঠছেন। সোমবার বিকেলে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে চরাঞ্চলের লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ এসেছিল।

তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার সকালে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করা হয়েছে। এতে চরাঞ্চলের লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করতে চার ইউএনও’কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ও ত্রাণ প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী বরাদ্দ দেয়া হবে।

ভারতের একটি বেসরকারি টেলিভিশন জানাচ্ছে, বিহার ও উত্তর প্রদেশে প্রচণ্ড বন্যা হওয়ায় ফারাক্কার সব লক গেট খুলে দেয়া হয়েছে। তবে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বর্ষায় ফারাক্কার গেটগুলো খোলাই থাকে। এবার বিহার ও উত্তর প্রদেশের বৃষ্টি ও বন্যার পানি আসতে থাকায় পানি বাড়ছেই। 

মতিহার বার্তা ডট কম – ০১ অক্টোবর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply