শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
পতিতালয়ের মাটিও কেউ নেয় না, দুর্গাপুজোয় সোনাগাছি পাড়ার অভিমান,

পতিতালয়ের মাটিও কেউ নেয় না, দুর্গাপুজোয় সোনাগাছি পাড়ার অভিমান,

পতিতালয়ের মাটিও কেউ নেয় না, দুর্গাপুজোয় সোনাগাছি পাড়ার অভিমান,
সোনাগাছি কলকাতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় অবশ্যই চাই বেশ্যাদ্বার মৃত্তিকা। অর্থাৎ বেশ্যাপাড়ার মাটি। এমনটাই রীতি। কিন্তু ইদানীং কলকাতায় পুজো নিয়ে মাতামাতি হলেও রীতিনীতি মানার ক্ষেত্রে যে শৈথিল্য এসেছে তা বোঝা গেল এই পাড়ায় খোঁজ নিতে গিয়ে।

প্রাচীন এই পাড়ার প্রবীণা বিমলাদেবী (নাম পরিবর্তিত) জানালেন, ‘‘১০-১২ বছর আগেও পুজোর আগে আগে মাটি নিতে ভিড় জমাতেন পুজো-কর্তারা। এখন কলকাতায় এত পুজো, কিন্তু মাটি নিতে আসার ভিড় অনেক কমে গিয়েছে। কলকাতার কিছু পুরনো বাড়ির পুজো আর কিছু পুরনো বারোয়ারি ঠিক নিয়ম করে আসে। এমনকী ঠাকুর তৈরি করার আগেও অনেকে নিয়ে যায় মাটি। প্রতিমায় ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু নতুনরা আর আসে না।’’

দুর্গাপুজোর আনন্দে কেউ যেন বাদ না পড়ে সেই লক্ষ্যেই হয়তো এই প্রাচীন রীতি। এখন অবশ্য, সোনাগাছির নিজস্ব পুজো হয়ে গিয়েছে। আদালতের হস্তক্ষেপে সেই পুজো নিয়ে বিবাদও মিটে গিয়েছে। পুজোয় মেতে ওঠার জন্য এখন আর অন্যের মুখাপেক্ষী হতে হয় না এই পাড়ার বাসিন্দাদের।
সোনাগাছির যৌনকর্মীদের সংগঠন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি কয়েক বছর আগে যখন দুর্গাপুজোর উদ্যোগ নেন, তখন বাধা আসে পুলিশের থেকে। প্রধান কারণ দেখানো হয়েছিল ওই ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় পুজো হলে যান চলাচলের অসুবিধা হবে। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্ট-এর দ্বারস্থ হয়ে পুজোর অনুমতি আদায় হয়। বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ‘‘যৌনকর্মীদের পুজোর অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না।’’

কিন্তু সোনাগাছির অভিমান যদি সত্যি হয়, তবে নতুন বারোয়ারির কর্তারা বেশ্যাদ্বার মৃত্তিকা ছাড়া কীভাবে পুজো করছেন? উত্তর পাওয়া গেল পশ্চিমবঙ্গ বৈদিক আকাডেমির প্রধান নবকুমার ভট্টাচার্যের কাছে। ‘দুর্গাপুজোর জোগাড়’ বইয়ের লেখক জানালেন, ‘‘শুধু বেশ্যাদ্বার মৃত্তিকাই নয়, দুর্গাপুজোর নিয়ম অনুসারে রাজদ্বারের মৃত্তিকাও লাগে। এছাড়াও লাগে সর্বতীর্থের মৃত্তিকা, গজদন্ত মৃত্তিকা, বৃষশৃঙ্গ মৃত্তিকা ইত্যাদি। সেসব কিছুই তো পাওয়া যায় না। মহামায়ার মহাস্নানের জন্যও ঝরণার জল থেকে সরস্বতী নদীর জলের কথা বলা রয়েছে শাস্ত্রে। কিন্তু সেসব আর কোথায় পাওয়া যাবে! গঙ্গাজলেই সেসব কল্পনা করে নিতে হয় পুরোহিতকে। একইভাবে গঙ্গামাটি দিয়েই বেশ্যদ্বার মৃত্তিকা কিংবা রাজদ্বারের মৃত্তিকার কাজ সারা হয়।’

মতিহার বার্তা ডট কম – ০৪ অক্টোবর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply