আন্তরজাতিক ডেস্ক: পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসার মামলা দায়ের করেছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ঋষণনাথ নগরের একটি হোটেলে চার যুবতী ও এক যুবক সকাল চারটের সময় এসে উঠেছে। এদের হাবভাব বেশ সন্দেহজনক৷ এরপরেই পুলিশ আধিকারিকরা দেবরানী হোটেলে এসে তাদের জিজ্ঞাসাদ করলে সেক্স র্যাকেটের কথা প্রকাশ্যে আসে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নয়াদিল্লির রামদাসনগরের বাসিন্দা সুরেন্দ্র পাল ও দিল্লির বাসিনা সিমরন লিভ-ইন রিলেশনে থাকে৷ এরা দীর্ঘসময় ধরেই মধুচক্র চালাচ্ছে৷ যে তিন যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ও সম্পর্কে একে অপরের আপন বোন৷ এদের মধ্যে বড় বোন প্রায় এক বছর আগে দিল্লিতে কাজের সন্ধানে আসে৷ সেখানে এসে তার পরিচয় সুরেন্দ্র ও সিমরনের সঙ্গে তারা তাকে টাকার লোভ দেখিয়ে এই ব্যবসায় নিয়ে আসে৷ এরপর প্রায় আড়াই মাস আগে এরা ওই যুবতীর আরও দুইবোনকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে নিয়ে এসে এই ব্যবসায় সামিল করে বলে অভিযোগ।
সুরেন্দ্র জানিয়েছে, সে দিল্লি থেকে হরিদ্বারে মধুচক্রের ব্যবসা করার জন্যই এসেছিল, কিন্তু তার আগেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে৷ অন্যদিকে সিমরন জানিয়েছে তার আসল নাম শিল্পী৷ সে পূর্ব বিবাহিত৷ কিন্তু বেশ কয়েকবছর আগেই সে তার স্বামীকে ছেড়ে চলে আসে৷ সে জানিয়েছে অনেক ছোট বয়স থেকেই মধুচক্রের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সে৷ সিমরন সুরেন্দ্রকে নিজের পার্টনার হিসেবে মনে করলেও সুরেন্দ্র তাকে নিজের স্ত্রী বলে মনে করে৷ অভিযুক্তদের কাছ থেকে গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.