আন্তরজাতিক ডেস্ক: আপামর বাঙালী যখন শারদোৎসবে মাতোয়ারা তখন নবমীতে দুঃসংবাদটা পৌঁছেছিল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের ঘোষ পরিবারে। এই পরিবারের ছেলে আশিষ কুমার ঘোষ (৩৫) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার বানপুর এলাকায় কর্মরত ছিলেন। রবিবার অষ্টমীর দিন সেখানেই সীমান্তে প্রহরার কাজে থাকার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আহত এই জওয়ানকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ওইদিন এই খবর মৃত সেনা জওয়ানের বাড়িতে পৌঁছলে উৎসবের আনন্দ ম্লান হয়ে যায় এলাকা জুড়ে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৫৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের প্রায় ১৫ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন আশিস কুমার ঘোষ। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বানপুর এলাকায় নিজের কর্তব্যে অবিচল ছিলেন তিনি। সেখানেই কর্তব্যরত অবস্থায় বজ্রপৃষ্ট হন তিনি।
মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে ঘরের মেয়ে উমাকে যখন চোখের জলে বিদায় জানাচ্ছেন মানুষ, ঠিক তখনই ওই সেনা জওয়ানের কফিন বন্দি মৃতদেহ পৌঁছলো তাঁর গোয়ালডাঙা গ্রামের বাড়িতে। পুজোর আনন্দ ভুলে এলাকার প্রতিটি মানুষ জড়ো হন তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। সেনাকর্মীদের কাঁধে কফিন বন্দি আশিষ কুমার ঘোষের মৃতদেহ বাড়ি ঘুরে পৌঁছায় স্থানীয় শ্মশানে। সেখানেই বিএসএফের পক্ষ থেকে গান স্যালুটের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
গ্রামবাসী তাপস কুমার পাল বলেন, পুরো গ্রাম শোকস্তব্ধ। খবরটা পাওয়ার পর থেকেই আমরা সবাই খুব কষ্টের মধ্যে আছি। বিএসএফ আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ বলেন, সীমান্তে কর্তব্যরত অবস্থাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এই সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।
সেনা জওয়ান আশিষ কুমার ঘোষের মৃতদেহ গ্রামে আসা মাত্রই এলাকার প্রচুর মানুষ সেখানেই ভীড় করেন। প্রত্যেকেই তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.