নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিক্ষার হলে নকল করতে সহযোগীতা না করায় তানিম (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রের গলায় ছুরিকাঘাত করেছে তারই সহপাঠি বন্ধু মিম (১৬) নামের এক স্কুলছাত্র। গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে রাজশাহী নগরীর মতিহার থানাধিন ডাসমারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।
আহত তানিম মতিহার থানাধিন ডাসমারী উত্তরপাড়া এলাকার মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে ডাসমারী দাখিল মাদ্রাসার এসএসসি পরিক্ষার্থী।
আহত স্কুলছাত্র তানিমের “মা” মমতাজ বেগম জানায়, আমার ছেলের দাখিল মাদ্রাসায় এসএসসি টেস্ট পরিক্ষা চলছে। রবিবার সকাল ৮টার সময় সে পরিক্ষা দিতে স্কুলে যায়। পরিক্ষা চলাকালীন সময় তার সহপাঠী বন্ধু মিম তার পরিক্ষার খাতা দেখে লিখলে চায়। কিন্তু মিম কোন ভাবেই তার খাতা দেখায় না। এতে মিম ক্ষুদ্ধ হয়।
তিনি আরো বলেন, একই দিনে সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে ডাসমারী হারেসের মোড়ে তানিম কোচিং এ ক্লাস করতে যায়। পরে সন্ধা ৭টার দিকে কোচিং-এ গিয়ে মনি ও ওয়ালিদ নামের দুইজন কিশোর কথা আছে বলে তাকে ডাসমারী আবু তাহেরের পুকুর পাড়ে ডেকে নিয়ে যায়। ওই সময় মিম পেছন থেকে এসে তানিমের গলার ডান সাইডে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে স্থানীয়রা তানিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রামেকের ৩১নং ওয়ার্ডে ভর্তি করে। চিকিৎসা শেষে মামলা করবেন বলেও জানান “মা” মমতাজ বেগম।
তানিমের বন্ধু মুজাহিদ জানায়, আজ সোমবার দুপুর ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পুরো ১ঘন্টা রামেকের ওটিতে তানিমের গলায় অপারেশান করা হয়।
রামেক ওটি’র কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আসাদুল ইসলাম রাজিব জানান, তার গলায় ০৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। রক্তক্ষরন বন্ধ হয়েছে। বর্তমানে স্কুলছাত্র তানিম শঙ্কামুক্ত। ওটি শেষে তাকে ৩৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান চিকিৎসক।
জানতে চাইলে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, স্কুলছাত্র তানিমকে ছুরিকাঘাতের বিষয়টি শুনেছি। সাথে সাথে ঘটনাস্থলে মির্জাপুর ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। বর্তমানে স্কুলছাত্র রামেকের ৩৩নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন রয়েছে। তবে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করতে আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান ওসি।
মতিহার বার্তা ডট কম:১৪- অক্টোবর ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.