শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
ঝুট কাপড়ের দড়ি তৈরি করে স্বাবলম্বী চারঘাটের তাতারপুর গ্রামবাসীর

ঝুট কাপড়ের দড়ি তৈরি করে স্বাবলম্বী চারঘাটের তাতারপুর গ্রামবাসীর

ঝুট কাপড়ের দড়ি তৈরি করে স্বাবলম্বী চারঘাটের তাতারপুর গ্রামবাসীর
ঝুট কাপড়ের দড়ি তৈরি করে স্বাবলম্বী চারঘাটের তাতারপুর গ্রামবাসীর

চারঘাট প্রতিনিধি : রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার তাতারপুর গ্রামের প্রতিটি বাড়ি যেন এক একটি দড়ি তৈরির কারখানা। এখানে ঝুটের কাপড় থেকে তৈরি হচ্ছে নানান রংয়ের বিভিন্ন সাইজের দড়ি। যা পাল্টে দিচ্ছে অসহায় নারী-পুরুষের জীবনযাত্রার মান ও গ্রামীণ অর্থনীতি।

পাশাপাশি জাতীয় উন্নয়নের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে নিরব ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। দড়ি তৈরী করে ভাগ্য বদলের চেষ্টায় মেতে উঠেছেন এই গ্রামের নারী-পুরুষরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,তাতারপুর কারিগর পাড়ায় বিভিন্ন বাড়ির উঠানে, আম বাগানের ভেতরে দড়ি তৈরি করছেন।

জানা যায়, এই গ্রামের প্রায় দুআ শত নারী-পুরুষ এই পেশার সাথে জড়িত। দেখা যায় স্কুলের শিক্ষার্থীরাও তাদের পড়াশুনার পাশাপাশি এই কাজে তাদের বাবা মাকে সাহায্য করছে এই কাজে।

প্রতিটি ঝুট কাপড়ের সুতার বস্তার ওজন ৪০-৬০ কেজি। প্রতিকেজি ঝুট কাপড়ের দাম ২০-৩০ টাকা। একটি বস্তা থেকে দড়ি তৈরী করে বিক্রির পর লাভ আসে প্রায় ৮০০-১০০০ টাকা। পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হলে সপ্তাহে দুই বস্তা ঝুট কাপড় থেকে দড়ি তৈরী করা যায়।

এই পেশার সাথে জড়িতরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে। সেই সাথে বেকারত্ব দূর হবে এমনটাই আশা করেন সচেতনমহল।

এই গ্রামের শাহীন আলী জানান, এখানকার এক শ্রেণীর ঝুট কাপড় ব্যবসায়ী বছর চারেক আগে স্বল্প পরিসরে মাদুরের বেল্ট হিসেবে ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, নারায়ানগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঝুট কাপড় সংগ্রহ করে বিক্রয়ের জন্য এখানে নিয়ে আসতো। সেই কাপড় থেকে ধীরে ধীরে স্থানীয় কিছু বেকার যুবক-যুবতী এবং বয়জ্যেষ্ঠ নারী-পুরুষ মিলে দড়ি তৈরির কাজ শুরু করে। প্রাথমিক পর্যায়ে বেচা-কেনা মন্দ থাকলেও ধীরে ধীরে এর চাহিদা বাড়তে থাকে।

একই গ্রামের দড়ি তৈরির কাজের সাথে জড়িত ওই গ্রামের আফিয়া বেগম জানান, প্রতিবেশীদের দেখাদেখি আমিও ঝুট কাপড় থেকে দড়ি তৈরি করি। ফলে স্বামী-সংসারে কিছুটা বাড়তি আয় হয়। প্রতিদিন আমি নানান সাইজের দড়ি তৈরি করি। বাজার চাহিদা ভাল থাকায় বেশ ভালই লাভ হয়।

এবিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাশেদা পারভীন জানান, নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। তাতারপুর গ্রামে যে সব নারীরা ঝুট কাপড় থেকে দড়ি তৈরি করে পারিবারিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে তারা যদি আমাদের সাথে যোগাযোগ করে তাহলে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সহযোগিতার ব্যবস্থা প্রদান করা যাবে।

মতিহার বার্তা ডট কম: ১৪-অক্টোবর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply