মতিহার বার্তা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের চাঞ্চল্যকর ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ লাকী বেগম ও তার চার বছরের শিশুকন্যা হুমায়রা আক্তার আলিফাকে গলাকেটে হত্যার রহস্য উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঘটনার মাত্র ২০ ঘণ্টার মধ্যে মাথায় এ লোমহর্ষক ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে বলেও দাবি করেন পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়।
পুলিশ সুপার জানান, টাঙ্গাইলের মা-মেয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত রাইজুদ্দিন ১৬১ ধারায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এসব কথা জানান।
তিনি জানান, আলামিনের অনেক টাকা-পয়সা দেখে তার লোভ হয়। ঘটনার দিন রাতে রাইজুদ্দিন ছুরি নিয়ে ওই বাড়িতে যান। দরজা খুলে দেয়ার পর তিনি ঘরে ঢুকে প্রথমে লাকী বেগমকে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় তার চার বছরের মেয়ে আলিফা এসে রাইজুদ্দিনকে চিনে ফেলে। তখন আলিফাকেও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন রাইজুদ্দিন।
পরে ছুরিটি পাশের জমিতে ফেলে দিয়ে ৮ লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি চলে যান।
পরে সকালে অন্য সবার মতো আলামিনের সঙ্গে থানায় যান। পাশাপাশি বন্ধু আলামিনকে শান্তনা দেন ও মামলার তদারকিও করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ভাল্লুককান্দী এলাকার ফ্ল্যাক্সিলোড ব্যবসায়ী আলামিনের ৭ মাসের অন্তঃসত্তা স্ত্রী লাকী বেগম (২২) ও তার চার বছরের শিশুকন্যা হুমায়রা আক্তার আলিফাকে শনিবার দিনগত গভীর রাতে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও গলাকেটে করে হত্যা করা হয়।
ঘটনাটি স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি দক্ষিণ) তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। একইসঙ্গে ঘটনা উদঘাটনে সদর থানার পক্ষ থেকে একটি, গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পক্ষ থেকে একটি দল গঠন করা হয়।
মোট তিনটি পৃথক দল যৌথভাবে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও সোর্সিংয়ের মাধ্যমে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পৌরসভার ভাল্লুককান্দি এলাকা থেকে সদর উপজেলার চরপাতুলীপাড়া গ্রামের মৃত সুকুম উদ্দিনের ছেলে রাইজুদ্দিনকে (৩৬) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মতিহা বার্তা ডট কম: ১৪ অক্টোবর ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.