রাজশাহীতে পেঁয়াজের ঝাঝে চোখ জলছে ক্রেতার

রাজশাহীতে পেঁয়াজের ঝাঝে চোখ জলছে ক্রেতার

রাজশাহীতে পেঁয়াজের ঝাঝে চোখ জলছে ক্রেতার
ছবি সংগ্রহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে আবারো বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গত কয়েক সপ্তাহ থেকে ধাপে ধাপে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। তবে প্রশাসনের নজরদারি ও সরকার নতুন ভাবে পেঁয়াজ আমদানি করায় দাম কিছুটা কমলেও বর্তমানে আবারো পেঁয়াজের বাজার উধমুখি।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর সাহেববাজার ও মাস্টারপাড়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। তবে মাস্টারপাড়া থেকে সাহেববাজারের ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি পেঁয়াজের বাড়তি দাম রাখছে, ৫ থেকে ১০ টাকা।

মাস্টারপাড়ার খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, ৯৫ টাকা এবং ভারতের পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আর সাহেববাজারে দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা ও ভারতের ৮৫ থেকে ৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে যে পেঁয়াজ মজুদ আছে তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ নেই! ব্যবসায়ীদের গুদামেও তেমন পেঁয়াজ নেই। আমদানিও মাঝে মাঝে বন্ধ হচ্ছে, আর নতুন পেঁয়াজ উঠবে আরো তিন মাস পরে। জেলার কিছু কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে জমিতে সবসময় পানি থাকায় পেঁয়াজের চারা প্রস্তুত করা সম্ভব হচ্ছে না। পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে দাম আরো বাড়বে বলে সংশয় প্রকাশ করেন কৃষকরা।

এর আগে গত সোমবার বিকেল সাহেববাজারের প্রায় ৬০ শতাংশ দোকানে কোনো মূল্য তালিকা টাঙ্গানো নেই। রোববার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৯০ টাকা। আর মাস্টারপাড়ায় ৬০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি করা হয়েছে। এদিকে আড়তদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করা হ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।

সাহেববাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানান, গত রোববার থেকে পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি বেড়ে গেছে। এদিন ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। আর গত সোমবার বিক্রি হচ্ছে, ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।

দাম বাড়ার বিষয়ে তিনি জানান, কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ নেই। সোনামসজিদ থেকে ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ না আসায় দাম বেড়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার তাহেরপুর হাট থেকে পেঁয়াজ কিনলাম ৩৪ শো থেকে ৩৬ শো টাকা মণ দরে।

পাইকারী ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন জানান, পেঁয়াজের দাম বাড়ার অনেক কারণ রয়েছে। প্রথমত বাজারে পেঁয়াজ কম, কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ নেই, পেঁয়াজের আমদানি কমে গেছে। আর কৃষকের ঘরে নতুন পেঁয়াজ উঠবে আরো তিন মাস পরে।

খুচরা ব্যবসায়ী ইয়াসিন আলী জানান, আমরা পাইকারি যে দামে পেঁয়াজ কিনছি তার দুই চার টাকা বেশি দামে বিক্রি করছি। বাগমারা তাহেরপুর পৌরসভা হাটের ব্যবসায়ী সাজেদুর রহমান জানান, কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ নেই। যা আছে অল্প পরিমাণে। হাটের ব্যবসায়ীদের যে পেঁয়াজ মজুদ আছে সেগুলো দিনে দিনে বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমানে কৃষক পেঁয়াজের জমি তৈরি করছে। তিন মাস পরে নতুন পেঁয়াজ পাওয়া যাবে। তবে এর মাঝে নতুন করে সংকট দেখা দিবে। হয়তো পেঁয়াজ কম খেতে হবে নয়তো আমদানি বাড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন, জমিতে নতুন ভাবে পেঁয়াজ উঠতে সময় লাগবে আরো তিন মাস।

মতিহার বার্তা ডট কম – ১৫ অক্টোবর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply