শিরোনাম :
নগরীর মতিহারে বিল্ডিং নির্মান বন্ধের হুমকি! ভয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিলেন বিধবা নারী (ভিডিও) গোদাগাড়ীতে ১০লাখ টাকার হেরোইন-সহ ৩জন মাদক কারবারী গ্রেফতার নগরীর তালাইমারীতে গাঁজা কারকারী মল্লিক গ্রেফতার রাজশাহীতে প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু রিভার সিটি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রুয়েটকে স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রুপান্তর করতে হলে সকল ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী চিপস্ খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ৬ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ চেষ্টা: আসামি নাইম গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে আরএমপি’র নোটিশ জারি তানোরে ক্লুলেস হত্যা মামলার পলাতক আসামি ইকবাল গ্রেফতার কৃষিতে বির্পযয়ের আশঙ্কা তানোরে চোরাপথে আশা মানহীন সারে বাজার সয়লাব বাঘায় বাবুল হত্যা মামলায় চেয়ারম্যানসহ ৭ জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ
৭৬ লাখ টাকা দামের পর্দা দেখতে ফরিদপুর মেডিকেলে তদন্ত কমিটি!

৭৬ লাখ টাকা দামের পর্দা দেখতে ফরিদপুর মেডিকেলে তদন্ত কমিটি!

৭৬ লাখ টাকা দামের পর্দা দেখতে ফরিদপুর মেডিকেলে তদন্ত কমিটি!

মতিহার বার্তা ডেস্ক: সম্প্রতি ৭৬ লাখ টাকায় পর্দা কিনে বেশ আলোচিত হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতাল। সরকারি বরাদ্ধের টাকা লুটপাট করে চিকিৎসা সরঞ্জামসহ বেশ কয়েক জাতের আসবাবপত্র কেনাকাটায় দেখানো হয় ব্যপক অনিয়ম। আর সেই অনিয়ম তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশনায় পাঁচ সদস্যের একটি দল তাদের কাজ সম্পন্ন করেছেন।

তদন্ত দলটি ক্রয় করা পর্দা ও যন্ত্রপাতিগুলো পর্যবেক্ষণ করেন। ব্যবহার না করার কারণে অতিরিক্ত দাম দেখিয়ে কেনা পর্দা ও যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে তারা জানান।

তদন্ত কমিটিকে সব ধরণের সহযোগীতা করছেন জানিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. কামদা প্রসাদ সাহা বলেন, পাচঁ সদস্যের একটি তদন্ত দল ফরিদপুরে এসেছে। দুই দিনে তারা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে তদন্ত করেন। যেহেতু আমার সময়ের ঘটনা এটি নয়, তারপরেও তারা যা যা আমাদের কাছে চেয়েছে আমি সেইসব তথ্য দিয়ে তাদেরকে সহায়তা করেছি।আমি তাদেরকে তদন্তের ব্যাপারে সব রকমের সহযোগিতা করেছি।

তদন্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শহিদুর রহমান বলেন, আমরা মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে দুদকের পক্ষ থেকে এই তদন্তে এসেছি। এখানকার বেশির ভাগ মেশিন ব্যবহার না করার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বহুল আলোচিত পর্দা ব্যবহার না হওয়া ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা দুই জায়গায় ঘুরে দেখেছি। ঢাকা গিয়ে এ ব্যাপারে রিপোর্ট জমা দেয়া হবে।

গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার (৯ ও ১০ অক্টোবর) তদন্ত কাজ পরিচালনা করে দলটি। তদন্ত দলে ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক মো. শহিদুর রহমান ও ফেরদৌস রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপ-পরিচালক ডা. মো. জাকির হোসেন ও সহকারী পরিচালক ডা. শফিকুর রহমান এবং সারাদেশে সরকারি হাসপাতালের যন্ত্রপাতি মেরামতকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইলেকট্রো ইকুইপমেন্ট মেইনটেইন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের (নিমিউ অ্যান্ড টিসি) সহকারী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার নাশিদ রহমান।

প্রসঙ্গত, ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনা এবং আর্থিক অনিয়মের ঘটনায় ২০ আগস্ট হাইকোর্ট দুদককে এ বিষয়ে তদন্ত করে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেন।

২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মেসার্স অনিক ট্রেডার্স ৫১ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার ১৬৬টি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে। অনিক ট্রেডার্স ৪১ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার বিল পেলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ১০ কোটি টাকা যন্ত্রপাতির দাম বেশি দেখানোসহ বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে বিল আটকে দেয়।

এ কারণে ২০১৭ সালের ১ জুন বকেয়া আদায়ে হাইকোর্টে একটি রিট করে অনিক ট্রেডার্স। রিটের পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কাছে অনিক ট্রেডার্সের সরবরাহ করা ১০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতির একটি তালিকা চেয়ে পাঠান। সুত্র: টুইট বাংলা

মতিহার বার্তা ডট কম – ১৫ অক্টোবর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply