এসএম বিশাল : রাজশাহীতে বিএনপি’র এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মিজানুর রহমান মিনু’র আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে সাবেক ছাত্রলীগ ফোরমের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধা সাড়ে ৬টায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৌকত আলী মৃদুলের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর কাদিরগঞ্জ গ্রেটাররোড আ’লীগের আঞ্চলিক অফিস থেকে শুরু হয়ে সাহেববাজার গণকপাড়ায় জমায়েত হয়।
এ বিক্ষোভ সমাবেশে প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহারিয়ার আলম সুমন, বিপ্লবি ছাত্রলীগ নেতা সাইদ আহমেমদ হিমেল, মাসুদ করিম, মোস্তাক হোসেন বাবু, শাহীন আহম্মেদ, পারভেজ হোসেন ও সোহাগ প্রমুখ।
পরে সন্ধা ৭টার দিকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আসাদুজজ্জামানের নেতৃত্বে পূণরায় একটি প্রতিবাদি মিছিল বের হয়। মিছিলটি গণকপাড়া থেকে শুরু হয়ে সাহেববাজার মনিচত্বর ঘুরে জিরো পয়েন্ট হয়ে পূণরায় একইস্থানে এসে শেষ হয়।
এ সময় আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আসাদুজজ্জামান আসাদ বলেন, বিএনপি নেতা মিনু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্যে করে বলেছেন, আপনি তো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির স্যান্ডেল বহনেরও যোগ্যতা রাখেন না, আবার প্রধানমন্ত্রী মারান!
তার এই বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের পর তা নিয়ে ফেসবুকেই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। আর প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ভারতের সাথে সরকারের চুক্তিটি যদি দেশবিরোধী হয় তাহলে আমরা আওয়ামী লীগ করব না। কিন্তু চুক্তি দেশবিরোধী না হলে মিনুকে রাজশাহীবাসীই এলাকা ছাড়া করবে।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, রাজশাহীকে হঠাৎ করেই অশান্ত করতে চাইছেন বিএনপি নেতা মিনু। প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন আপত্তিকর বক্তব্য দিতে, তার একটুও বুক কাঁপেনি।
আগামীতে এরকম আপত্তিকর বক্তব্য দিলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন সাবেক ছাত্রলীগ ফোরামের নেতারা। পরিশেষে মিনুর কুশ পুত্তলিকা দাহ’র মাধ্যমে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করেন তারা।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তার নিজের ফেসবুক পেজে ক্ষমা চেয়ে একটি ভিডিও আপলোড করেন তিনি।
সেখানে তিনি জানান, সম্প্রতি দলীয় সমাবেশকালীন ‘সময় কম থাকায়’ তাড়াহুড়ো করে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে তিনি ওই বক্তব্য দেন। একে ‘স্লিপ অব টাং’ দাবি করে এর জন্য ক্ষমা চান তিনি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.