শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাসিকের সঙ্গে আরডিএ মতবিনিময়, ২৫ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা

রাসিকের সঙ্গে আরডিএ মতবিনিময়, ২৫ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা

রাসিকের সঙ্গে আরডিএ মতবিনিময়, ২৫ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা
রাসিকের সঙ্গে আরডিএ মতবিনিময়, ২৫ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ২৫ বছরের উন্নয়ন কর্ম-পরিকল্পনা নিয়ে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাথে মাস্টারপ্লান প্রণয়ন বিষয়ে রাসিকের সাথে উন্নয়নের ভাবনা শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত নগর ভবনের সিটি হলরুমে এ সভা অনুুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সুন্দর, স্বাস্থ্যকর, সমৃদ্ধ ও বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে প্রয়োজন সকলের একান্ত সহযোগিতা। নগরবাসীর জীবন যাপনের জন্য সুপরিকল্পিত যুগোপযোগী বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি এবং একটি সুন্দর ভবিষ্যত বিনির্মানের মাধ্যমে রাজশাহী মহানগরীকে অথনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাস্টারপ্লান প্রণয়ন করা হচ্ছে।

রাজশাহীর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ২০০৪ সালে প্রথম মাস্টারপ্লানের অধিনে ৩৬৫ কিলোমিটার রাজশাহী মেট্রোপলিটন ডেভলোপমেন্ট প্লান (আরএমডিপি) ২০০৪-২০২৪ প্রণয়ন করা হয়। প্লানটি সরকারী অনুমোদনক্রমে ২০০৫ সালে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয় যেটি চার স্তর বিশিষ্ট পরিকল্পনা।

মেয়র আরো বলেন, রাজশাহীর সার্বিক উন্নয়নকে সামনে রেখে মাস্টারপ্লান তৈরি করতে হবে। মাস্টারপ্লান তৈরি ও বাস্তবায়িত হলে রাজশাহী মহানগরের অধিবাসীগণ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। পরিকল্পিত এবং অপেক্ষাকৃত দুর্যোগ নিরাপদ নগর গড়ে উঠবে। নগরের বিরাজমান সম্ভাবনা সমূহ নিকটবর্তী ও দূরবর্তী জেলাগুলিকে আকৃষ্ট করবে। অর্থনৈতিক অবস্থা সচল হবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। বিদ্যমান সমস্যা দূরীভুত হবে এবং সবুজ ও পরিচ্ছন্ন নগর গড়ে উঠবে।

ফুটপাত, সুপ্রশস্ত রাস্তা তৈরী হবে ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। কার্যকর নর্দমা ব্যবস্থার ফলে জলাবদ্ধতার নিরসন হবে। অবসর যাপন ও বিনোদনের উপযুক্ত স্থান বৃদ্ধি পাবে। ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে।

মেয়র আরো বলেন, সকল উন্নয়ন সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। পদ্মা নদীর ধার উন্নয়ন, রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপন, তারকামানের হোটেল নির্মাণসহ নগরীর উন্নয়নে জনপ্রতিনিধিদের মতামত গ্রহণের মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণে করতে আরডিএ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি।

সভায় রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, জনপ্রতিনিধিদের সুপারিশ ও পরামর্শ গ্রহণ করে মাস্টারপ্লান প্রণয়ন করা হবে। মডেল মাস্টারপ্লান প্রণয়নে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক। পাওয়ার পয়েন্টে প্রেজেন্টেশন দেন মাস্টারপ্লান প্রণয়ন প্রকল্পের ডেপুটি টিম লিডার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আকতার মাহমুদ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র ১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, প্যানেল মেয়র ২ ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাওগাতুল আলম, আরডিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, সচিব আবু হায়াত রহমতুল্লাহ, মাস্টারপ্লান প্রণয়ন প্রকল্পের টিম লিডার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামীম মাহবুবুল হক প্রমুখ।

মতিহার বার্তা ডট কম:২২- অক্টোবর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply