নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শির্ক্ষাথীকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইয়ের ঘটনায় যখন রাস্তা অবরোধ করে উত্তাল হলো শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। ঠিক তখনই নড়েচড়ে বসলো পুলিশ ও মহানগর ডিবি পুলিশ।
রাবি ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে একাধিক ছিনতাকারীকে আটক করলো ডিবি সেকেন্ড অফিসার এসআই হাসান ও সঙ্গীয় ফোর্স। উদ্ধার করা হলো বিভিন্ন মডেলের ২২টি মোবাইল সেট। গ্রহণ করা হলো অপরাধিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা।
গত (২০ অক্টবর) আর এমপির ফেসবুকে অপরাধিদের ছবি ও মোবাইলের ছবি দিয়ে লিখা হলো রাবি স্টুডেন্টদের হারানো মোবাইল সেট সনাক্তকরণের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন।
এ বিষয়ে প্রশাসনের প্রতি নগরবাসীর ধন্যবাদের শেষ নেই। সবাই আনন্দিত, উচ্ছাসিত। পাশাপাশি তারা বলছে, অপরাধ বন্ধ করতে পুলিশের কঠোর হস্তোক্ষেপ ও কঠোর দৃষ্টি থাকলে কোন অপরাধই থাকবে না সমাজে তথা নগরীতে।
বর্তমানে মাদকের যে ভয়াবহতা তা থেকে মুক্তি চায় নগরবাসী। রাজশাহী নগরী ও জেলা গুলোতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাদকসেবী আর মাদক বিক্রেতার সংখ্যা।
উঠতি বয়সি যুবক, স্কুল-কলেজ, রুয়েট, রাবিসহ সরকারী বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা হেরোইন, ফেন্সিডিল, ইয়াবা সেবন করছে। বেড়ে উঠছে লন্ড-ভন্ড বিকৃতি মস্তিস্ক নিয়ে।
সমাজে বাড়ছে অপরাধ ও অপরাধির সংখ্যা। গত ১০ বছর আগেও রাজশাহী নগরীতে বর্তমান সময়ে চেয়ে বেশি চুরি ছিনতাই খুনের মতো জঘন্য অপরাধ তেমন ছিলোনা।
সম্প্রতিক সময়ে রাজশাহী নগরীতে ঘটে যাওয়া কলেজ ছাত্র খুন, ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধ নগরবাসিকে ভাবিয়ে তুলেছে। উঠতি বয়সি যুবক-যুবতীদের নিয়ে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন অভিভাবকরা।
এদিকে মাদকের সম্রাজ্য গুড়িপাড়া, কাঠালবাড়িয়া মোড়, হাড়ুপুর, কাশিয়াডাঙ্গা, বালিয়া মোড়, নবগঙ্গা, সোনাইকান্দি, মুরালীপুর, ভেত্তাপাড়া, হরিপুরের আলতাব, জাহাঙ্গীর, আধার কোঠা, দামকুড়া,।
অপরদিকে, নগরীর মহব্ববতের ঘাটের সিমুল, সেন্টু, সাতবাড়িয়া এলাকা, ডাসমারী ও ডাসমারী স্কুল মোড়ের তেল রফিক, জামাল,ও পালা ।
মিজানের মোড়, শ্যামপুর বালু ঘাটের তারেক, আজিজুলের মোড়। বেলঘরিয়ার বিখ্যাত নারী মাদক ব্যবসায়ী রোকিয়া বেগম। নওদাপাড়া এলাকা, চৌমুহিনি, টাংগন পশ্চিমপাড়া এলাকার সাথি, চায়না, জাহিদ খুচরা ব্যবসায়ী। ওই এলাকার মাদকের গডফাদার ও সবচেয়ে পুরোনো ব্যবসায়ী তজিবার, গালকাটা লিটন, মিদজুল, হাতকাটা রফিক, রিপন।
টাংগন পূর্বপাড়া এলাকার লুৎফর মেম্বার, শুকটা, রাজন, সজল, রায়হান, আজিজুল, কালাম, জসিম, আসাদুল, নবি, এরা মাদকের সবচাইতে বড় ব্যবসায়ী হলেও এরা ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে যায়।
এদিকে জেলার চারঘাট থানাধিন ইউসুফপুর বাজােরের জনৈক স্যান্ডেলের দোকানদার, রানা, সালাম, গবরা, সিপাইপাড়া এলাকাতেও মাদকের ছড়াছড়ি।
বেলপুকুর রেলগেট এলাকা, সারদা পুলিশ একাডেমির আশ-পাশের এলাকায় পুলিশ তেমন একটা যায়না বলেই স্থানীয়দের অভিযোগ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কিছু অসাধু পুলিশ এ সকল মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট মাসোহারা নিয়ে থাকে। আর কিছু অসাধু পুলিশ যেখানে মাদক ব্যবসায়ী আটক করে সেখানেই দেন দরবারের মাধ্যমে ছেড়ে চলে আসে।
মাদকের ভয়াবহতা না কমার কারন হিসেবে এ সকল অনিয়ম আর অসাধু পুলিশদেরকেই দায়ি করছেন একাধিক স্থানীয়রা।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.