শিরোনাম :
নগরীর মতিহারে বিল্ডিং নির্মান বন্ধের হুমকি! ভয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিলেন বিধবা নারী (ভিডিও) গোদাগাড়ীতে ১০লাখ টাকার হেরোইন-সহ ৩জন মাদক কারবারী গ্রেফতার নগরীর তালাইমারীতে গাঁজা কারকারী মল্লিক গ্রেফতার রাজশাহীতে প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু রিভার সিটি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রুয়েটকে স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রুপান্তর করতে হলে সকল ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী চিপস্ খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ৬ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ চেষ্টা: আসামি নাইম গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে আরএমপি’র নোটিশ জারি তানোরে ক্লুলেস হত্যা মামলার পলাতক আসামি ইকবাল গ্রেফতার কৃষিতে বির্পযয়ের আশঙ্কা তানোরে চোরাপথে আশা মানহীন সারে বাজার সয়লাব বাঘায় বাবুল হত্যা মামলায় চেয়ারম্যানসহ ৭ জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ
রাজশাহীর চারঘাটে ধান ভাঙার কল যাচ্ছে কৃষকের বাড়ি বাড়ি

রাজশাহীর চারঘাটে ধান ভাঙার কল যাচ্ছে কৃষকের বাড়ি বাড়ি

রাজশাহীর চারঘাটে ধান ভাঙার কল যাচ্ছে কৃষকের বাড়ি বাড়ি
রাজশাহীর চারঘাটে ধান ভাঙার কল যাচ্ছে কৃষকের বাড়ি বাড়ি

মোঃশিমুল ইসলামঃ এখন আর কাউকে ধান নিয়ে ছুটতে হয় না বাজার বা ধান ভাঙার মেশিন বাড়িতে। রিকশা, বাইসাইকেল ও মাথায় বহন করতে হয় না ধান বা চালের বস্তা।

এখন ধান ভাঙার মেশিনই বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছে। আর এসব সমাধান করে দিয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়নের বাঁকড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ভ্রাম্যমাণ ধান ভাঙার কল।

ভ্রাম্যমাণ কল গ্রাম বাংলায় দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গেরস্থ বাড়ির দোরগোড়ায় গিয়ে ধান ভেঙে চাল করে দেন শফিকুল ইসলাম।ধান ভাঙা আর পিঠা খাওয়ার জন্য চাল গুঁড়ো করার জন্য ব্যবহৃত হতো ঢেঁকি। এখন গ্রামের পর গ্রাম ঘুরেও একটি ঢেঁকির সন্ধান পাওয়া যায় না। কষ্ট করে ঢেঁকিতে পাড় দিতে হয় না গ্রাম্য বধূদের।

আরো আগে বৈদ্যুতিক মোটরের মিল চালু হয়। অনেক দূরে দূরে রাইস মিল হওয়ায় মানুষকে খুব কষ্ট করে ধান ভাঙাতে হতো। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ না থাকায় শ্যালো মেশিনের সঙ্গে হলার স্থাপন করে ধান ভাঙানো হতো।

রবিউল নিজের জমানো পুঁজিতে তার বাড়িতে ধান ভাঙার মেশিন স্থাপন করেন। এ অবস্থায় তার তেমন আয় না হওয়ায় লোহার অ্যাঙ্গেলের ওপর একটি শ্যালো মেশিন ও একটি হলার সেট করে তৈরি করেন ধান ভাঙার ভ্রাম্যমাণ কল। এখন তার আয়-রোজগারও হয় ভালো। এ ভ্রাম্যমাণ কলে দিনে ত্রিশ থেকে চল্লিশ মণ ধান ভেঙে চাল তৈরি করেন তিনি।

বড়বড়িয়া গ্রামের বধূ রাবিয়া বেগম জানান,আগে আমাদের বাজারে যেতে হতো ধান ভাঙ্গাতে।এখন ভ্রাম্যমাণ মেশিন আসার পরে আর আমাদের বাজারে বা ধান ভাঙ্গার মেশিন বাড়িতে যাওয়া লাগে না। বাজারের চেয়ে ভ্রাম্যমাণ কলে ধান ভাঙলে আমাদের খরচ, কষ্ট ও সময় খুব কম লাগে।’

ভ্রাম্যমাণ মেশিনের মালিক শফিকুল ইসলাম জানান, আমি বিভিন্ন এলাকার রাস্তা দিয়ে মেশিন নিয়ে যাই। যাদের ধান ভাঙানো দরকার তারা আমাকে ডেকে নেন।

তিনি আরও জানান, আগে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে, ‘এখন আর আমার বউ- পোলাপান নিয়ে কষ্ট করতে হয় না।ভালই রোজগার হয়। আমার এ ভ্রাম্যমাণ কল দেখে অন্যরাও এ মেশিন তৈরি করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান ভেঙে কামাই (আয়) করে খাচ্ছে।’

মতিহার বার্তা ডট কম – ২৩ অক্টোবর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply