আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শুক্রবার দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে ভারতের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বলেছিলেন, “পাকিস্তান অধ্যুষিত কাশ্মীর পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে নেই। ওটা জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে।” আর এতেই গোঁসা হয়েছে পাকিস্তানের। সে দেশের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর আসিফ গফফুর বলেছেন, “ভারতের সেনাপ্রধান যা সব মন্তব্য করছেন, তা থেকে বোঝা যাচ্ছে উনি যুদ্ধ লাগাতে চাইছেন।”
জেনারেল কালিয়াপ্পা স্মারক বক্তৃতায় রাওয়াত আরও বলেছিলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর এখন বেআইনি কারবারের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে।” জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহার নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্য ছিল, “উপত্যকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে এই পদক্ষেপ কার্যকরী হবে।”
পাক সেনাবাহিনীর তরফে ভরতের সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে তোপ দেগেছেন গফফুর। গত ১৯ তারিখের ঘটনাকেও ফেক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বলে কটাক্ষ করেছেন পাক সেনার মুখপাত্র। তাঁর কথায়, “ভোটের বাজার গরম রাখতেই এই সব সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের গল্প বলছে ভারত।”
ইসলামাবাদের তরফে আরও বলা হয়েছে, “ভারতের সেনাপ্রধান প্রকাশ্যে যে ধরণের উস্কানিমূলক কথা বলছেন, তাতে সীমান্তের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে এবং তা হলে, তার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী থাকবেন রাওয়াত।”
অগস্টের ৫ তারিখ ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকেই নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ চাপানউতোর অব্যাহত। আন্তর্জাতিক স্তরে দরবার করে পাকিস্তান বারবার বলেছে, কাশ্মীরে এক তরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। আর নয়াদিল্লির তরফে ততবার বলা হয়েছে, এটা একেবারেই ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।
পর্যবেক্ষকদের মতে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে এই ধরণের কথা বলতে হচ্ছে ঘরোয়া রাজনীতির সমীকরণ মেনেই। ঠিক যে ভাবে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এই দরজা সেই দরজায় কড়া নাড়তে হয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে নালিশ করতে। যদিও রবিবার সকাল পর্যন্ত মেজর গফফুরের মন্তব্য নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ভারত।
মতিহার বার্তা ডট কম – ২৭ অক্টোবর ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.