নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্নীতি আর অনিয়মের অপর নাম রাজশাহী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও রাণীনগর নৈশবিদ্যালয়। গত প্রায় এক যুগ ধরে সার্টিফিকেট বানিজ্য, নিয়োগ বানিজ্য, আর দখলদারিত্বের মধ্য দিয়েই চলছে এই স্কুলের কার্যক্রম। আর এ সকল অরাজকতার মূল হোতা স্কুলের মানেজিং কমিটির সভাপতি ডা. আব্দুল মান্নান।
ম্যানেজিং কমিটির একধিক সদস্যরা জানায়, ডা. আব্দুল মানানের খারাপ আচারন ও নির্বাচিত সদস্যদেরকে ছাগল বলে গালি দেওয়া কারনে গত ০৬-০৬-২০১৮ তারিখে ম্যনেজিং কমিটির ১০ জনের মধ্যে ৬ জন সদস্য পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে কমিটি অকার্যকর হয়ে থাকলেও ডা. মান্নান একক সিদ্ধান্তে টাকা উত্তোলন, একক সিদ্ধান্তে টাকা খরচ করে আসছেন। এ নিয়ে অর্থ-অত্নসাৎ-এর অভিযোগ এনে ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য বিজ্ঞ আদলতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে দুদকে দেখভাল করছেন।
অর্থের বিনিময়ে চাকুরীর বিষটিও জানা গেছে ওই স্কুলের শিক্ষক মোঃ রবিউল ইসলাম রবির মুখে। তিনি ৩জন ব্যক্তিকে অর্থের বিনিময়ে চাকুরীর কথা স্বিকার করেন। যাহা মুঠোফোন রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়াও ২৮-০২-১৩ তারিখে পদত্যাগ করে যাওয়া শিক্ষক (গনিত) প্রশান্ত সিংহ রায়কে নিয়ম বহিভূত ভাবে একক ক্ষমতাবলে পূণরায় চাকুরীতে যোগদান করান সভাপতি ডা. মান্নান।
চাকুরী থেকে পদত্যাগ করলে নিয়োগের মাধ্যমে প্রবেশ করার নিয়ম থাকলেও এখানে প্রশান্ত সিংহ রায়কে স্কুলের অকার্যকর সভাপতি নিয়ম বহিভূত ভাবে তাকে যোগদান করিয়েছেন বলেও অভিযোগ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের। শুধু তাই নয় ওই শিক্ষকের পদত্যাগ করে চলে যাওয়া সময়গুলোকে ছুটি দেখিয়ে ১মাসের পূর্ণ বেতন প্রদান করা হয়। এ ঘটনার আরো এটি অনিয়মের স্বাক্ষী রেজুলেশন বহি। সেখানে দেখা যায় ২৯-০৯-১৩ তে সভাপতির বিশেষ নিদের্শে পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার ও যোগদানের অনুমোদন দেয় হয়। যাহা নিয়ম বহিভূত ও সভপতির সেচ্ছাচারিতা। এ নিয়েও রয়েছে নানা গুঞ্জন।
রাণীনগর নৈশ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। তিনি ৮র্ম শ্রেণী পাশ সার্টিফিকেট বিক্রি করেন ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকার বিনিময়ে। রাজশাহী নগরীতে ৮র্ম শ্রেণী পাশ সার্টিফিকেটের ৯৫ ভাই এ শিক্ষকের বিক্রি করা।
এছাড়াও ফরম ফ্লাপের টাকা তিনি কখনই রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে তিনি, সার্টিফিকেট বানিজ্য, ফরম ফ্লাপের টাকা অত্নসাৎ করেই রানিনগর মোন্নাফের মোড়ে মাটি কিনে নির্মান করেছেন একটি ভবন।
এ বিষয়ে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি অসুস্থ পরে কথা বলবো। স্কুলে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে রানীনগর নৈশ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলাম, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ডা. আব্দুল মান্নান ও শিক্ষক প্রশান্ত সিংহ রায়-এর বিরদ্ধে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষে কঠোর হস্তক্ষেপের দাবি ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের। পর্ব-১
মতিহার বার্তা ডট কম – ২৭ অক্টোবর ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.