শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহী নগরীর বিজিবি স্কুলে শিশু অপহরনের চেষ্টা, অপহরণকারী আটক

রাজশাহী নগরীর বিজিবি স্কুলে শিশু অপহরনের চেষ্টা, অপহরণকারী আটক

এসএম বিশাল : রাজশাহী নগরীর বিজিবি স্কুলে ৪র্থ শ্রেণীর এক শিশুকে অপহরণ চেষ্টা করার সময় অপহরণকারীকে হাতেনাতে আটক করেছে বিজিবি ও সাধারন অভিভাবকরা।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর বিজিবি স্কুলের অভ্যান্তরে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত অপহরণকারী রাজশাহী নগরীর চন্দ্র্রিমা থানাধিন শিরোইল কলোনী ১নং গলির বাসিন্দা মোঃ ইব্রাহিমের ছেলে হৃদয় হাসান সুজন (৩৫)।

অপহৃত শিক্ষার্থী মোঃ মেহেদি হাসান রাফি (১১), আসাম কলোনী বৌ বাজার এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ মনিরুজ্জামের ছেলে।

স্কুলের শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম জানান, স্কুলে দ্বিতৃয় শিফটে পিটি চলাকালীন সময় অপহরণকারী হৃদয় হাসান সুজন স্কুলের ভেতরে প্রবেশ করে শ্রেণী কক্ষে রাফিকে খোঁজাখুজি করছিলো। এ সময় শিক্ষক তার গতিবিধি সন্দেহ্ হওয়ায় তাকে ডেকে প্রশ্ন করেন, আপনি কাকে খুঁজছেন ? উত্তরে সুজন বলে আমি ঢাকা থেকে এসেছি আমার ভাতিজা রাফিকে খুঁজছি।

পরে শিক্ষক রাফির বাবাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে রাফির বাবা দ্রুত বিজিবি শহীদ কর্ণেল কাজি ইমদাদুল হক পাবলিক স্কুলে পৌঁছেন। সেখানে গিয়ে তিনি অপহরণকারীকে জিজ্ঞাস করেন, আপনি কে ? উত্তরে অপরহরণকারী বলে আমি রাফির চাচা ঢাকা থেকে এসেছি রাফিকে নিতে। এছাড়াও সে বলে আমি প্রশাসনের লোক।

তার কথা শুনে রাফির বাবা অপহরণকারীকে ধরে লোক জোন ডাকলে বিজিবির সদস্যরা এসে অপহরণকারীকে ধরে ফেলে। এসময় তার সহযোগী মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে ওই অপহরণকারীকে চন্দ্রিমা থানা সেপার্দ করে বিজিবি সদস্যরা ও সাধারন অভিভাবকরা। শিক্ষার্থী রাফির মা সুমি আক্তার বলেন, গত বৃহস্পতিবার ওই অপহরণকারী রাত ৮টার দিকে আমাদের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বাড়ির দিকে দির্ঘ সময় তাকিয়ে ছিল।

এ বিষয়ে রাফির বাবা বাদী হয়ে চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

জানতে চাইলে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, এ ঘটনায় শিশু অপহরণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরো বলেন, তার সহযোগী ও মাইক্রোবাস চালকের নাম জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অপহরণকারীদের পুরো গ্যাংকে আটক করা হবে।

রাজশাহীর সময় ডট কম২৯ জানুয়ারী ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply