শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
রাজশাহী নগরীতে সৎ বাবার হয়রানীতে অতিষ্ঠিত জাবেদ

রাজশাহী নগরীতে সৎ বাবার হয়রানীতে অতিষ্ঠিত জাবেদ

রাজশাহী নগরীতে সৎ বাবার হয়রানীতে অতিষ্ঠিত জাবেদ
রাজশাহী নগরীতে সৎ বাবার হয়রানীতে অতিষ্ঠিত জাবেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে সম্পত্তী হাতিয়ে নিতে ছেলেকে ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন জাহাঙ্গীর আলম স্বাধিন (৫০) নামের এক সৎ বাবা। তিনি নগরীর শারীরিক শিক্ষা কলেজের একজন পিয়ন পদে কর্মরত।

এ নিয়ে মোঃ জাবেদ ইকবাল তার সৎ পিতার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ৯৮ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-৬৪৬।

পরে হত্যার হুমকি দেয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী ও একটি অভিযোগ করেছেন জাবেদ। চন্দ্রিমা থানার জিডি নং- ১০৩৯।

এছাড়াও জাবেদের মা নিলুফা বেগম গত (২১ নভেম্বর ২০১৯) বিজ্ঞ আদালতে নারী নির্যাতন ও যৌতুক আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যাহা চলমান।

এ ঘটনায় জাবেদ জানায়, ২০০৮ ইং সালে আমার বাবা মৃত্যু বরন করেন। এরপর আমারা দুই ভাই এবং মাকে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই জিবন জাপন করছিলাম।

২০১৪ সালে আমি নাটোর বাগাতিপাড়ায় একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। এবং মেয়ের বাবা আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহা বিজ্ঞ আদালত কতৃক মামলাটি খারিজ করে দেন ২০১৮ সালে।

ওই মামলায় তদবির করতে গিয়ে প্রতারক জাহাঙ্গীর আলম স্বাধিনের সাথে আমার মায়ের পরিচয় হয়। পরে ২০১৫ সালে স্বাধিনের ফাঁদে পড়ে আমার মা বিবাহ্ বন্ধনে আবদ্ধ হই।

সেই থেকে স্বাধিন বিভিন্ন অজুহাতে আমার নিকট নগদ টাকা ধার হিসেবে টাকা নিতো এবং সেই টাকা কখনই ফেরত দিতো না।

পরে সে আমার একটি মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য নিয়ে নিজের বলে দাবি করে। এ নিয়ে আমার সাথে বিবাদ সৃষ্টি হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় গত (২৯ জুন ২০১৯) জাবেদকে পরিকল্পিত ভাবে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসানো হয়। অথচো তিনি দীর্ঘদিন থেকে শারীরক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাধিন রয়েছে।

এমন কি প্রতি মাসে ভারতে চিকিৎসা নিতে যেতে হয় তাকে। তিনি আরো বলেন, আমার বাবা একজন কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন, মারা যাওয়ার পর পরিবারের হাল ধরতে হয় আমাকে। লেখাপড়া বাদ দিয়ে রাজশাহী বিআরটিএ তে মাস্টারোলে চাকুরী নেয়। পরে ২০০৯ সালে চাকুরী ছেড়ে দেওয়ার পর চার বছর ঢাকায় একটি প্রইভেট ফার্মে চাকুরী করি।

এরপর ২০১৫ সালে কেয়ার বাইকে সাথে পার্টনারে ব্যবসা করতে গিয়ে বনিবনা না হওয়াই ব্যবসা ছাড়তে বাধ্য হয়। ২০১৬ সালে বাবার রেখে যাওয়া টাকা ও জমি বিক্রি করে লাইসেন্সের মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য আমদানির ব্যবসা শুরু করি। এর পর স্বাধীনের সাথে আমার মায়ের বিয়ে হওয়ার পর আসে আমাদের পরিবারে অসান্তি।

মায়ের শুখের চিন্তা করে সৎ বাবা স্বাধীনের সকল চাহিদা পুরন করতে হতো আমাকে। রাজশাহী মেসার্স মনা এন্ড সন্স এর কাছে স্বাধীনের বাকি করা ১৮ হাজার ৪শত ৫২ টাকা, ফিরোজাবাদে এনার্জি কনফেশনারীতে ও সালবাগানে সেলিম স্টোর এমনকি ফিডের দোকানেরও বাকির টাকা পরিশোধ করতে হতো আমাকে।

এছাড়া প্রায় সময় তার চাহিদার নগদ টাকা দিতে হতো এক মাত্র মায়ের চিন্তা করে। এত কিছু করার পরও আমার মাকে নির্যাতন করতে পিছপা হতোনা প্রতারক স্বাধীন। এ নিয়ে সৎ বাবার সাথে ঝামেলার সৃষ্টি হয় জাবেদের।

এ থেকে একের পর এক সড়যন্ত্র করতে থাকেন স্বাধীন।থেমে থাকেননি মিথ্যা তথ্য সরবারাহ করে সাংবাদিদের দিয়ে মানহানিকর সংবাদ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে করিয়েছেন। যাহার প্রতিবাদ দেয়া হয়েছে।

আর এর নেপথ্যে রয়েছে আমার মায়ের ফুপা মোঃ মহসিন পরামানিক। যার বিরুদ্ধে জাভেদ পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য বিজ্ঞ আদালতে ৪০৬/৪২০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যাহা বিজ্ঞ আদালতে চলমান।

এছাড়াও আমার মায়ের শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন যৌতুকের দায়ে (২১ নভেম্বর ২০১৯) বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন আমার মা।

এর আগে গত (১০ নভেম্বর ২০১৯) স্বাধীন আমার মায়ের নিকট ৩লক্ষ টাকা দাবি করে। সে টাকা না দিলে আমার মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যপক শারীরিক নির্যাতন করে। ওই সময় আমি বাসায় ছিলামনা।

পরে মা অসুস্থ হয়ে পড়লে সে দোতলার ছাদ দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আমি খবর পেয়ে মাকে উদ্ধার করি সেই সাথে স্বাধীনের প্রথম স্ত্রী উপস্থিত হয়ে নগরীর শাহমখদুম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।

অভিযোগ দায়েরর পর স্থানীয় নেতাদের হাত করে অভিযোগ তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় স্বাধীন। সেই সাথে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে আমাকে হুমকি দিতে থাকে সে।

বর্তমানে আমার সৎ বাবা একজন অর্থলোভী ও আমার মায়ের ফুপা মহসিনের নজর পড়েছে আমার বাবার রেখে যাওয়া দোতলা বাড়ি ও সম্পত্তীর উপর।

আর এ কারনে আমাকে হত্যার পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন ভাবে ফাঁসাতে মিথ্যা অপপ্রচার করাসহ মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তারা।

তিনি আরো বলেন, আমাকে সন্ত্রাসী ও পুলিশ দিয়ে ফাঁসিয়ে দেবে বলেও হুমকি দিচ্ছে স্বাধিন। এ নিয়ে চরম উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে জিবন যাপন করছি বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত স্বাধিনের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

রাজশাহীর সময় ডট কম – ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply