শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
মদ্যপায়ী হিসেবে ব্যবস্থাপত্র দিতে চিকিৎসককে চাপ প্রয়োগ পুলিশের !

মদ্যপায়ী হিসেবে ব্যবস্থাপত্র দিতে চিকিৎসককে চাপ প্রয়োগ পুলিশের !

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদকসেবনের অভিযোগে চিকিৎকের কাছে আনা চারজনের বিরুদ্ধে আব্যবস্থাপত্র না দেয়ায় চিকিৎসকের সঙ্গে পুলিশের অসৌজন্যমূলক চরণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় এসআই সিরাজ ওই চারজনকে মদ্যপায়ী হিসেবে ব্যবস্থাপত্র দিতে চিকিৎসককে চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু তাদের প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মদ্যপায়ী হিসেবে আলামত পাওয়া যায়নি। যার কারণে ওই ব্যক্তিদের মাদকসেবী হিসেবে ব্যবস্থাপত্র দিতে অস্বীকৃতি জানান ডা. মাহফুজ।

এ নিয়ে ডাক্তার মাহফুজের সঙ্গে এসআই সিরাজের কথাকাটাকাটি হয়। পরে এসআই সিরাজ আটককৃত চারজনকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চলে যান।

 এবিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবু শাহাদাৎ মাহফুজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি কারো কাছে অভিযোগ করিনি। শুধু আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি   ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, শুক্রবার রাতে উপ-পরিদর্শক সিরাজ চার ব্যক্তিকে হাতকড়া পরা অবস্থায় নিয়ে এসে আমার কাছে এমসি চান এবং অ্যালকোহলিস্ট (মাদকসেবী) হিসেবে ব্যবস্থাপত্র দিতে বলেন। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া তা দিতে আমি অস্বীকৃতি জানাই। পরে আমি প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ওই চারজনের মদ্যপানের কোন আলামত পাইনি। এরপর এসআই সিরাজ তার মোবাইল ফোন থেকে সম্ভবত শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার মশিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

এরপর ওসি আমাকে বলেন, ‘আপনি পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে সহযোগিতা করছেন না’ বলে ফোন কেটে দেন। এরপর এসআই সিরাজ আটককৃতদের সঙ্গে নিয়ে চলে যান। কিছুক্ষণ ফিরে এসে তিনি আমার নাম পদবী মোবাইল নম্বর এবং কততম বিসিএস ব্যাচ তার তথ্য কাগজে লিখে দিতে বলেন। এরপর আমি তা লিখে দেই।

বিষয়টি নিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আকতারুজ্জামান বলেন, চিকিৎসক মাহফুজ প্রাথমিকভাবে ব্যাহ্যিক পরীক্ষা করে কোন আলামত পাননি। তাই তিনি সে বিষয়ে কোন ব্যবস্থাপত্র দেননি। পরে ড. মাহফুজ আমাকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। উপজেলা বা জেলা সদরে মদ্যপায়ী শনাক্তের কোন ইকুয়েপমেন্ট নেই। সে হিসেবে আমরা তা পরীক্ষা করতে পারি না।

এ ঘটনার বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিকদার মশিউর রহমান মোবাইলে বলেন, ‘ফার্স্টএইড নিতে গিয়ে ডাক্তারের দেরি দেখে তাড়াতাড়ি আটকৃতদের চিকিৎসা দেয়ার অনুরোধ করা হয়। এসআই দায়িত্বরত চিকিৎসকে বলেন ‘আমরা আবারও মাদক বিরোধী অভিযানে যাব, আপনি এদের দ্রুত চিকিৎসা দেন।’ একপর্যায়ে এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি হয়, এরচেয়ে বেশি কিছু ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সায়ফুল ফেরদৌস মো. খায়রুল আতাতুর্ক বলেন, আমি যেটুকু জানি, পুলিশ কয়েকজন মাদকসেবীকে নিয়ে এসেছিল। তারপর পুলিশ তাদের মাদকসেবী হিসেবে লিখে দিতে বলেছে, এই নিয়ে ইগো প্রবলেম থেকে হয়তো কথা কাটাকাটি হয়েছে, এটা আমার ধারণা। এটা তেমন কিছু বড় বিষয় না।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর আমাকে ওই চিকিৎসক মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। আমি এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। তদন্ত কমিটি বিষয়টি দেখবে। সুত্র : যুগান্তর

রাজশাহীর সময় ডট কম  ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯                     

 

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply