শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পা ধুয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পা ধুয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শহরের ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করা যাদের নিত্যদিনের কাজ, তাদের পা ধুয়ে সম্মান জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।নরেন্দ্র মোদি যে নজির গড়লেন পৃথিবীর আর কোনো শাসক তা করেছেন কিনা তা গবেষণার বিষয়।

রোববার কুম্ভমেলায় গিয়ে একে একে পাঁচজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পা ধুয়ে দেন মোদি।শুধু পা ধুয়ে দেন নি, তাদের পা নতুন তোলায়ে দিয়ে মুছেও দিয়েছেন।একজন সরকার প্রধানের এমন বদান্যতায় অবাক পরিচ্ছন্নকর্মীরা।

পদ্মা, যমুনা, সরস্বতী, নদীর সংযোগস্থলে প্রতিবার বসে কুম্ভমেলা।এতে প্রতিবার গোসল করতে বহু পুণ্যার্থীর সমাগম হয়।বহু মানুষের চাপ পড়ায় ঘাট পরিস্কার রাখাটাই চ্যালেঞ্জ। যারা এই কাজটি করেন তাদের প্রতি সম্মান দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

এদিন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বসেন চেয়ারে। আর নিচে একটি মোড়ায় বসে পাত্রে পানি নিয়ে পরিচ্ছন্নকর্মীদের পায়ে সাবান মাখিয়ে দেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।পরে পরম মমতা নিয়ে পা ধুইয়ে দেন।সেই পা মুখে দেন নতুল তোয়ালে দিয়ে।

পা ধুয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে ২০ হাজারের বেশি ডাস্টবিন, ১ লাখ টয়লেট রয়েছে। ভাবা যায়, কতটা কঠোর পরিশ্রম করেছেন পরিচ্ছন্নকর্মীরা।

পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাজের প্রশংসা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা রোজ ভোরে ঘুম থেকে উঠেন, দেরি করে ঘুমোতে যান। রোজ সকাল ও রাতে তারা সড়কে থাকেন।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শহর পরিচ্ছন্ন করেন। এরা কোনো প্রশংসা চান না, সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।এরা আমার ভাই।

মোদি যাদের পা ধুয়ে দিয়েছেন তাদের মধ্যে নরেশ কুমার বলেন, এমন যে কিছু হবে, তা তারা জানতেনই না। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তাদের পা ধুয়ে দেয়ায় তারা স্তম্ভিত।সূত্র: যুগান্তর।

পরিচ্ছন্নতাকর্মী জ্যোতি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে এত সম্মান পাব কোনোদিন ভাবিনি। কতদিন কুম্ভে কাজ করছি তাও জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর মুগ্ধ পেয়ারে লাল বলেন, উনিই যেন ফের প্রধানমন্ত্রী হন।

মতিহার বার্তা ডট কম ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply