শিরোনাম :
ফ্রিজ়ে রাখা দুধ গরম করলেই ছানা হয়ে যায়! ফেলে না দিয়ে বানিয়ে ফেলুন নতুন ৫ খাবার গোপন করেছিলেন বিয়ে, প্রেমে পড়েছিলেন সহ-অভিনেত্রীর, বহুকামিতা নিয়ে প্রচারে থাকেন বলি নায়িকা ‘আল্লার কাছে পাঠিয়ে দেব’, ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্ডোগানের বার্তা রাশিয়ার পরে এ বার আইএসের হানা গৃহযুদ্ধ দীর্ণ সিরিয়ায়, বিস্ফোরণ, গুলিতে নিহত অন্তত ১১ রুয়েটের সাবেক ভিসি ও রেজিস্টারের বিরুদ্ধে মামলা করলো দুদক পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় মৃত ৬ বিশ্বসুন্দরীমঞ্চে এই প্রথম মুসলিমবিশ্বের প্রতিনিধি… দেখে নিন আপনি বুদ্ধিমান কী না! দাঁত ব্রাশ করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু কাজে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
পৃথিবীর নীল সমুদ্র’ সবুজাকার হয়ে উঠবে” ব্রিটেনের এক দল গবেষক

পৃথিবীর নীল সমুদ্র’ সবুজাকার হয়ে উঠবে” ব্রিটেনের এক দল গবেষক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নীল সাগর অনেক বেশি সবুজাভ হয়ে উঠবে। চলতি শতকের শেষ দিকেই বদলটা স্পষ্ট হতে শুরু করবে। জানাচ্ছেন ব্রিটেনের সাউথাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক। ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁদের এই গবেষণাপত্রটি। তবে কি আমাদের নীল গ্রহ ক্রমে সবুজ গ্রহে পরিণত হতে চলেছে! কিন্তু কেন?

গবেষক দলটির অন্যতম সদস্য আনা হিকম্যান জানাচ্ছেন, সুমুদ্রের জলে থাকা শৈবালকণা ‘ফাইটোপ্লাংটন’ সবুজ। এরা ডাঙার সবুজ গাছেদের মতোই সুর্যের আলোকে ব্যবহার করে খাবার তৈরি করে। যেখানে এদের সংখ্যা কম, সেখানে সাগরের জল নীল।

যেখানে বেশি, সেখানে সবজেটে। জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান ধারায় বদল আনতে না-পারলে ২১০০ সাল নাগাদ এই গ্রহের তাপমাত্রা প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে। উষ্ণতর জল পেয়ে সংখ্যায় তথা পরিমাণে (বায়োমাস) বিপুল বাড়বে ফাইটোপ্লাংটনের।

আর তাতেই ঢের বেশি সবজেটে হয়ে উঠবে সাগরের নীল জল। শুধু তা-ই নয়, এদের জন্ম-মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে এক এক মরসুমে এক এক রকম রং নেবে সমুদ্র। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিষয়টা শুধু দেখার নয়। সূর্যের আলো সাগর কতটা শুষে নেবে, কতটা ফিরিয়ে দেবে— বদলে যাবে তার ছবিও।

অবশ্য শুধু তাপমাত্রা নয় সাগরজলের সবুজ ও অন্য রংয়ের জৈব বস্তুর কমা-বাড়াটা নির্ভর করে জলের স্রোত বা অম্লতার মতো অন্য বেশ কিছু বিষয়ের উপরেও। কম্পিউটার মডেলের মাধ্যমে বদলের চিত্রটা জানার সময় এই বিষয়গুলিও মাথায় রাখা রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ-মার্কিন বিজ্ঞানীদের যৌথ দলটি। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে

চলা কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে বা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ক্যামেরা ও অন্য যান্ত্রিক চোখে গত দু’দশকে যে তথ্য জোগাড় হয়েছে, তার ভিত্তিতেই রং বদলের বিষয়টি উঠে এসেছে।

 

হিকম্যানরা জানাচ্ছেন, কারণটা গুরুতর। পৃথিবীতে যত সালোকসংশ্লেষ হয়, তার অর্ধেকটাই করে এই শৈবালকণাদের ক্লোরোফিল। এরাই সমুদ্রের প্রাণী কুলের খাবারের প্রাথমিক জোগানদার। এদের পরিমাণ ব্যাপক ভাবে কমে-বেড়ে গেলে সমুদ্রের খাদ্যচক্রে ও কার্বন-চক্রে বড়সড় পরিবর্তন ঘটবে। অজানা পরিস্থিতি তৈরি হবে।

সেই বদলটা মানুষের তথা পৃথিবীর জীবকুলের পক্ষে ভাল না মন্দ— তা নিয়ে রায় দেওয়ার সময় অবশ্য আসেনি। তবে পরিবর্তনটা রাতারাতি নয়, হচ্ছে ধীরে। খালি চোখে ধরা পড়ার মতো নয়। ফলে এখনই শিল্পীদের রংয়ের প্যালেট পাল্টে ফেলার সময় আসেনি। তবে বদলটার দিকে বিজ্ঞানীদের নজরদারি জরুরি বলে মনে করছেন হিকম্যান ও তাঁর সতীর্থরা।

মতিহার বার্তা ডট কম ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply