আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কলকাতা শহরের রেলওয়ে স্টেশনে জঙ্গি হামলা! শুরু হল জঙ্গি-পুলিশ গুলি পালটা গুলি লড়াই৷ পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হল তিন জঙ্গির৷ খবরটা ছড়িয়ে পড়তেই স্টেশন চত্বরে নেমে এল পুলওয়ালার আতঙ্ক৷
কিন্তু যাত্রীদের অক্ষত রেখে মাত্র ১৫ মিনিটের অপারেশনে স্টেশনটি জঙ্গিমুক্ত হল৷ জঙ্গি হামলা হলে কীভাবে তার মোকাবিলা হবে তারই একটি নমুনা দেখালো কলকাতা পুলিশ।
এদিন কলকাতা স্টেশনের যাত্রীদের সঙ্গে মিশে ট্রেন থেকে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামল চার যুবক। নেমেই মুখে রুমাল বেঁধে যে যার মতো ছড়িয়ে পড়ল স্টেশনে। মুহূর্তের মধ্যেই যাত্রীদের ভিড়ের মাঝে পর পর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটাল তারা।
কয়েক জন যাত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় প্ল্যাটফর্মে লুটিয়ে পড়লেন৷ বাকিরা ছোটাছুটি শুরু করলেন৷ এবার এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের৷ যাতে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ে৷
সময় নস্ট না করে প্ল্যাটফর্মে কর্তব্যরত জিআরপি জঙ্গিদের ঘিরে ফেলে৷ খবর পেয়ে মুহুর্তের মধ্যে স্টেশন চত্বরে আসেন রেল পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স ও কলকাতা পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের অফিসাররা৷
সঙ্গে নিয়ে এসেছেন কলকাতা পুলিশের স্নিফার ডগ জিঞ্জার, ইফমা, সিনা ও পাস্কেলকে৷ কিছুক্ষনের মধ্যেই কলকাতা স্টেশনটি দখন নেয় রেলরক্ষী বাহিনী,কলকাতা পুলিশের কম্যান্ডো৷
টেলিস্কোপ ম্যানিপুলেটরের সাহায্যে স্টেশনের ডাস্টবিনের ভিতর থেকে বের করে আনা হল বিস্ফোরক ভর্তি একটি খেলনা৷ সাবধানে ওই খেলনাটি ফেলা হল ‘ইনেভিটার’ বা বোমা নিষ্ক্রিয়ক বাক্সে৷
কলকাতা স্টেশনের জঙ্গি হামলা ও তার মোকাবিলায় পুলিশি অপারেশন টিমের সময় লাগল মাত্র ১৫ মিনিট৷ এরপর স্বাস্থ্যকর্মীরা আহত যাত্রীদের স্ট্রেচারে করে বাইরে নিয়ে আসেন৷
আহতদের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা করে অ্যাম্বুল্যান্সে করে পাঠিয়ে দেওয়া হল কলকাতার হাসপাতালে। স্টেশনটি জঙ্গিমুক্ত হল কিনা তা নিশ্চিন্ত হতে সব শেষে ‘প্রো-আই সার্চ ক্যাম্প’ যন্ত্র দিয়ে প্ল্যাটফর্ম ও সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছিল৷
এভাবেই রবিবার একটি মহড়ার মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলো প্রশাসন৷
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.