শিরোনাম :
নগরীর মতিহারে বিল্ডিং নির্মান বন্ধের হুমকি! ভয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিলেন বিধবা নারী (ভিডিও) গোদাগাড়ীতে ১০লাখ টাকার হেরোইন-সহ ৩জন মাদক কারবারী গ্রেফতার নগরীর তালাইমারীতে গাঁজা কারকারী মল্লিক গ্রেফতার রাজশাহীতে প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু রিভার সিটি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রুয়েটকে স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রুপান্তর করতে হলে সকল ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী চিপস্ খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ৬ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ চেষ্টা: আসামি নাইম গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে আরএমপি’র নোটিশ জারি তানোরে ক্লুলেস হত্যা মামলার পলাতক আসামি ইকবাল গ্রেফতার কৃষিতে বির্পযয়ের আশঙ্কা তানোরে চোরাপথে আশা মানহীন সারে বাজার সয়লাব বাঘায় বাবুল হত্যা মামলায় চেয়ারম্যানসহ ৭ জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ
সার সিন্ডিকেটের হোতা স্বপনের ৬ মাসের দণ্ড

সার সিন্ডিকেটের হোতা স্বপনের ৬ মাসের দণ্ড

সার সিন্ডিকেটের হোতা স্বপনের ৬ মাসের দণ্ড
সার সিন্ডিকেটের হোতা স্বপনের ৬ মাসের দণ্ড

মতিহার বার্তা ডেস্ক: অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ করে মজুদ রাখা ও কৃষকের কাছে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার রাজবাড়ীহাটে শফিকুল ইসলাম স্বপন নামে সার সিন্ডিকেটের এক হোতাকে দণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করেন নাচোল উপজেলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা বেগম।

এ সময় শফিকুল ইসলাম স্বপনের গুদামে অবৈধভাবে মজুদ রাখা ১ হাজার ৪৮৫ বস্তা বিভিন্ন ধরনের সার পেয়ে গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। পরে স্বপনকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা বেগম ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তাকে নাচোল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অন্যদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের বিষয়টি কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে আগেই ফাঁস হওয়ায় চোরাই সার সিন্ডিকেটের অন্যতম মূলহোতা তরিকুল আলম ও তার ভাই তৈমুর আলী উপজেলার নাচোলবাজার ও রাজবাড়ীহাটে থাকা তাদের দুটি গুদামে তালা দিয়ে আত্মগোপন করেন। পরে তরিকুল অসুস্থতার ভান করে রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন।

নাচোলে গড়ে উঠা বিশাল সার সিন্ডিকেটের হোতাদের সঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার গভীর যোগসাজশ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সারের কালোবাজারি চলছে বলে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা নিশ্চিত হয়েছেন। সারের মতো স্পর্শকাতর একটি সরকারি পণ্য নিয়ে কারসাজিতে সহযোগিতার জন্য কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ দেয়া হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মেদ বলেছেন, তিনি অভিযানিক টিমে ছিলেন এবং তাদের যথাসাধ্য সহযোগিতা করেছেন। গোয়েন্দা সংস্থা সার কারসাজির পুরো বিষয়টি পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে এবং কারা কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার ‘উত্তরাঞ্চলে ভর্তুকির সার নিয়ে চলছে নৈরাজ্য’ শিরোনামে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ নিউজে সিন্ডিকেটের শফিকুল ইসলাম স্বপনের সার কারসাজির বিষয়টিও উঠে আসে। যুগান্তর

মতিহার বার্তা ডট কম: ১১ ডিসেম্বর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply