মতিহার বার্তা ডেস্ক : আবাসিক খাত নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু না বললেও শিল্প, বাণিজ্য ও বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
শনিবার নৌভ্রমণে ‘মি ৃ দ্য এনার্জি রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এলএনজি আমদানির জন্যই দাম বাড়ানো হচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের মূল্য সমন্বয় করে আমরা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কাছে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছি। কিন্তু কতটুকু (প্রস্তাবের) রাখা হবে তা নির্ভর করছে কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর।
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে ১১ মার্চ থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কমিশনের চারদিনব্যাপী গণশুনানির সপ্তাহখানেক আগে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করলেন।
বাংলাদেশ এনার্জি রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এ অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সদরুল হাসান, আর সভাপতিত্বে ছিলেন সভাপতি অরুণ কর্মকার।
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করলেও বিদ্যুতের মূল্যের ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে গ্যাসের ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি পেট্রোলিয়াম ব্যবহৃত কিছু ইউনিট হ্রাস করার পরিকল্পনা রয়েছে।
‘যেহেতু আমরা কিছু ব্যয়বহুল বিদ্যুৎকেন্দ্রে পেট্রোলিয়াম ব্যবহার বন্ধ করে দিচ্ছি এবং আরো অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের ব্যবহার বাড়াচ্ছি, এতে বিদ্যুতের দামের ওপর সর্বনিম্ন প্রভাব পড়বে,’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোটরযানে এলএনজি ব্যবহার কমানো এবং বৈদ্যুতিক যান চালুর ধারণার সঙ্গে তার মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ একমত।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হলো নতুন প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়ানো। তবে এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।
এলএনজি ও কয়লা আমদানি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর বড় চাপ সৃষ্টি করবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে আমাদের প্রয়োজন ১১০-১২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ।
মতিহার বার্তা ডট কম ০২ মার্চ ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.