মতিহার বার্তা ডেস্ক : নিজেকে পুলিশের এসআইয়ের পরিচয় দিয়ে এক কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার দ্বিগর সহিলাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রতারক লিটন ওই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। মেয়েটি নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ প্রতারক লিটনকে গ্রেফতার করেছে।
কেন্দুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, লিটন মিয়া নিজেকে পুলিশের এসআই শাহজাহান কবির নামে পরিচয় দিয়ে প্রায় দুই মাস আগে ওই মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
এক পর্যায়ে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। লিটন বিয়ে করার কথা বলে গত ২ মার্চ ওই স্কুলছাত্রীটিকে তার নিজ এলাকায় চলে আসতে বলে। ছাত্রীটি ওই দিনই ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে পরে। ওই দিন রাত ৮টার দিকে ময়মনসিংহের ব্রিজ এলাকা থেকে ছাত্রীটিকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে লিটন।
এ সময় ছাত্রীটির সন্দেহ হলে এক পর্যায়ে লিটন নিজেকে এসআই শাহজাহান কবীরের ভাতিজা পরিচয় দেয় এবং বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে রাত প্রায় ১১টার দিকে ছাত্রীটিকে লিটনের বাড়ির পেছনে একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে লিটন ও তার বন্ধু সাইদুল দুইজন মিলে ছাত্রীটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ওসি (তদন্ত) আরো জানান, ধর্ষণের পর ছাত্রীটিকে লিটন তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় মাতব্বররা সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মেয়েটিকে নিজ বাড়িতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ঘটনাটি অবহিত হলে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারসহ লিটনকে গ্রেফতার করা হয়।
আরো পড়ুন: এয়ারপোর্ট থেকে ৭০ লাখ টাকার ১৫শ’ কচ্ছপ উদ্ধার
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, লিটন এবং তার সহযোগীরা এ ধরণে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এলাকায় অনেকবার ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় লিটন ও তার সহযোগী সাইদুলের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে ওই ছাত্রী। পুলিশ ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রতারক লিটন মিয়াকে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দি গ্রহণের জন্য ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীটিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে । ইত্তেফাক।
মতিহার বার্তা ডট কম ০৪মার্চ ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.