শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
যে কারণে বহুবিবাহের বিরুদ্ধে মিসরের ইমাম

যে কারণে বহুবিবাহের বিরুদ্ধে মিসরের ইমাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বহুবিবাহের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছেন মিসরের শীর্ষ ইসলামিক প্রতিষ্ঠান আল আজহারের প্রধান ইমাম শেখ আহমেদ আল তায়েব।

তিনি বলেছেন, বহুবিবাহ করা বা বহুপত্নী রাখার বিষয়টি নারী এবং শিশুর জন্য অবিচার হতে পারে।

তিনি তার সাপ্তাহিক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে এই ফতোয়া দেন। পরে তিনি টুইটারেও একই বক্তব্য তুলে ধরেন।

শেখ আহমেদ আল তায়েব ২০১০ সাল থেকে মিসরের আল আজহারের প্রধান ইমাম হিসেবে রয়েছেন। তাকে সেখানে সুন্নি ইসলামের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

তিনি বলেন, কোরআন সঠিকভাবে না বুঝে প্রায়শই এই বহুবিবাহের বিষয়টি অনুশীলন করা হয়।

শেখ আহমেদ আল তায়েবের এই ফতোয়া নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

মিসরে সেই বিতর্কের মুখে আল আজহার নামের ইসলামিক প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেয়।

সেই ব্যাখ্যায় বলা হয়, প্রধান ইমাম বহুবিবাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি। তিনি বিবাহ নিয়ে ভুল অনুশীলনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।

একই সঙ্গে বিতর্কের মুখে শেখ আহমেদ আল-তায়েবও তার বক্তব্য থেকে সরে আসেননি।

তিনি তার নিজের বক্তব্যের সমর্থনে বলেছেন যে, একটি বিবাহ করাই ছিল নিয়ম এবং বহুবিবাহ হচ্ছে ব্যতিক্রম।

তিনি আরও বলেন, যারা স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও বহুবিবাহের পক্ষে থাকেন বা সেটিকেই নিয়ম মনে করেন, তারা সবাই ভুল।

বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে মিসরের এই ইমাম কোরআন থেকে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘একজন মুসলিম পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখতে পারেন। কিন্তু তাকে একাধিক স্ত্রীর প্রত্যেকের জন্য ন্যায্যতার শর্ত মেনে চলতে হবে। যদি সেই ন্যায্যতা না থাকে, তা হলে একাধিক স্ত্রী বা বহুবিবাহ নিষিদ্ধ।’

তিনি মনে করেন, একাধিক স্ত্রী রেখে ন্যায্যতা রাখা সম্ভব নয়।

নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংস্কারের যে আন্দোলন, তাকে সমর্থন করেন মিসরের এই ইমাম।

টুইটারে তিনি বলেন, ‘সমাজের অর্ধেক নারী। ফলে তারাই সমাজের অর্ধেকের প্রতিনিধিত্ব করেন। আমরা যদি তাদের যত্ন বা সন্মান না করি, তা হলে এটি কেবল এক পায়ে হেঁটে যাওয়া।’সূত্র:কালের কণ্ঠ।

মিসরে নারীদের জন্য যে জাতীয় কাউন্সিল রয়েছে, তারা এই ইমামের বক্তব্যের ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

মতিহার বার্তা ডট কম ০৪মার্চ ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply