শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরলেই প্রত্যেকে পাবেন ৫ লাখ টাকাঃচীনের প্রতিনিধি দল

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরলেই প্রত্যেকে পাবেন ৫ লাখ টাকাঃচীনের প্রতিনিধি দল

মতিহার বার্তা ডেস্ক : মিয়ানমারে ফিরে যেতে রাজি হলেই প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে ছয় হাজার মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থ সহায়তা দেয়া হবে।

রোববার কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপকালে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চীন সরকারের এশিয়াবিষয়ক দূত সুন গুঝিয়াং।

ইন্দোনেশিয়ার বেনার নিউজের এক প্রতিবেদনের বরাতে খবর আনাদোলুর।

আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) মহাসচিব সায়েদ উল্লাহ জানিয়েছেন, চীন সরকারের এশিয়াবিষয়ক দূত সুন গুঝিয়াং শরণার্থী শিবিরে ১৪ রোহিঙ্গা নারী ও ১৫ রোহিঙ্গা পুরুষের সঙ্গে আলাপ করেছেন।

তিনি আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, পাঁচ থেকে ছয় হাজার ডলার দিলে আমরা মিয়ানমারে ফিরে যাব কিনা?

এর জবাবে আমরা বলেছি- আমাদের নাগরিকত্ব দেয়া না হলে এবং আমাদের দাবিগুলো মেনে নেয়া না হলে আমরা কোনোভাবেই সেখানে ফিরে যাব না।

রোহিঙ্গাদের সঙ্গে চীনের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন এমন এক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, যার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেনার নিউজকে বলেন, রাখাইনে নিজেদের বাড়িঘর পুনর্নির্মাণে সহায়তা করতে প্রতিনিধিদলটি একেকজনকে ছয় হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।

তবে ঢাকায় অবস্থিত চীনের দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয় চীনা প্রতিনিধিদল ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিল।

এদিকে বেইজিংয়ের সাবেক বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ বলেছেন, আন্তর্জাতিক চাপ থেকে মিয়ানমারকে রক্ষা করার জন্য চীন শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, চীন রাখাইন রাজ্যে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কিন্তু রোহিঙ্গা বিষয়গুলো যদি অমীমাংসিত থেকে যায়, তা হলে তাদের পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে পারবে না।

এটি তারা রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য নয়, করছে তাদের অর্থনৈতিক লাভের আশায়, বলেন তিনি।সুত্র: যুগান্তর

মতিহার বার্তা ডট কম ০৭ মার্চ ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply