শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
শীর্ষ নেতাকে জানিয়েই শপথ নিয়েছি: ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুলতান মনসুর

শীর্ষ নেতাকে জানিয়েই শপথ নিয়েছি: ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুলতান মনসুর

মতিহার বার্তা ডেস্ক : সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মনসুর বৃহস্পতিবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালনের শপথ নেন, যিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়নে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে।

জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের দপ্তরে শপথবাক্য পাঠ করার পর ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে স্পিকারের পাশের নির্ধারিত আসনে বসেন সুলতান মনসুর।

শপথ অনুষ্ঠান শেষে সংসদ ভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মৌলভীবাজার-২ আসনের এই এমপি।

দল ও জোটের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে যে হুঁশিয়ারি গণফোরামের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল, সে বিষয়ে সুলতান মনসুরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক।

জবাবে তিনি বলেন, “সকল কথার উত্তর আমি দেব না এ কারণে যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সেসব সিদ্ধান্তের সময় আমিও ছিলাম। আমিও ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি হিসেবে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

“তবে একটা কথা বলতে পারি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতার নলেজেই আমি এটা করেছি।”

ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মনসুর এক সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় সংস্কারপন্থি হিসেবে দলে অপাঙক্তেয় হয়ে পড়াপর পর তিনি কামাল হোসেনের সঙ্গে ভেড়েন।

আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গণফোরাম গঠনকারী কামাল হোসেন কয়েক বছর আগে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নামে একটি ফোরাম গড়ে তোলেন। এবার নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে জোট বাঁধার সময় গণফোরাম, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া দুটোই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়।

গত ৩০ ডিসেম্বর ওই নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র ছয়টি আসনে জয় পায় বিএনপি। আর গণফোরামের দুটি মিলিয়ে ঐক্যফ্রন্ট পায় মোট আটটি আসন।

নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলে তারা। নির্বাচিতরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবে না বলেও ঘোষণা দেওয়া হয় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে।

গণফোরামের প্রার্থীদের মধ্যে সুলতান মনসুর ছাড়াও সিলেট-২ আসন থেকে দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে বিজয়ী মোকাব্বির খান। তিনিও সুলতান মনসুরের সঙ্গে শপথ নেওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলেন।

তবে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল করে বুধবার তিনি জানান, বৃহস্পতিবার তিনি শপথ নিচ্ছেন না, দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত নেবেন।

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু গত রোববার সাংবাদিকদের বলেন, “তারা (শপথ নিতে) গেলে অবশ্যই আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। দলীয় সিদ্ধান্ত ও আইনগত সিদ্ধান্ত যা নেওয়া দরকার, সেগুলো আমরা নেব।”

মন্টুর ভাষায়, “যারা যাচ্ছে তাদের মাথা খারাপ না হলে …. যেখানে মূল দল বলছে, না যাওয়ার কথা। সেখানে দলের পরিপন্থি হয়ে এই কাজ করবে, এটা গ্রহণযোগ্য না।”

বৃহস্পতিবার শপথ নেওয়ার পর এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুলতান মনসুর বলেন, “তারা তাদের সিদ্ধান্ত নেবে, আমি আমার ভূমিকা পালন করব। দল হিসেবে তারা সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকুন। আর আমার ভূমিকার অপেক্ষায় থাকুন।“

মেকাব্বির খানের শপথ না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে সুলতান মনসুর বলেন, “আমি ৩ তারিখে চিঠি দিয়েছিলাম। উনি (মেকাব্বির) দিয়েছিলেন কয় তারিখ সেটা উনি বলতে পারবেন। আমি জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে ছিলাম। ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলাম। সেই সদস্য হিসেবে আমি স্পিকার মহোদয়ের কাছে চিঠি দিয়েছি।

“নির্বাচনের পর থেকে আমি আমাদের ফোরামে এবং গণমাধ্যমে বলেছিলাম, আমি অসুস্থ ছিলাম। আমি যাব। সেই ধারাবাহিকতায় যা বলেছিলাম তা করেছি। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী। ৩০ ডিসেম্বর পর যা বলেছি তাই করেছি।”

ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে ভোট করা প্রসেঙ্গে তিনি বলেন, “আমি অবশ্যই সরকারি দলের প্রতিনিধিত্ব করছি না। ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করেছি। ধানের শীষ একসময় ছিল মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ন্যাপের মার্কা। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর এই মার্কা হয়েছে বিএনপির। বর্তমানে এই মার্কা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মার্কা। কাজেই আমি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নীতিনির্ধারক হিসেবে ধানের শীষ মার্কায় নির্বাচন করেছি।”

আরেক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে বিএনপি বড় দল স্বীকার করতেই হবে। তাদের নেতা-কর্মীরা কাজ করেছে। তাছাড়া সর্বদলীয় লোকজন আমার নির্বাচনে কাজ করেছে। এই আসনে কখনো ধানের শীষ জয়যুক্ত হয়নি। সংসদে আমি জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করব।

“যেহেতু নির্বাচন করতে হলে ইসির নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধিত দলের সদস্য হয়ে নির্বাচন করতে হয়, সেজন্য গণফোরামের তালিকায় তাদের সদস্য হিসেবে গ্রহণ করে আমাকে নির্বাচনের সুযোগ করে দিয়েছিল। সেজন্য আমি অবশ্যই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বাকি ৭ জনকেও শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সুলতান মনসুর বলেন, “আমি চাইব তাদের বক্তব্য সংসদের ভিতরে বাইরে আলোচনা হতে পারে। আওয়াজ উঠতে পারে। তাদের আহ্বান জানাব শপথ নিয়ে ন্যায্য দাবি ও সমস্যা নিয়ে কথা বলেন।”

মতিহার বার্তা ডট কম ০৭ মার্চ ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply