আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের আহমেদাবাদের রেবতী বোরদাবিকার। বিবাহিতা তিনি। আছেন স্বামী। অথচ কোনো শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন নি তারা। অর্থাৎ রেবতী এখনও কুমারী। তা সত্ত্বেও তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন প্রাকৃতিক উপায়ে। অবাক হওয়ার মতো কথা হলেও সত্য।
রেবতীর একটি রোগ আছে। একে ইংরেজিতে বলা হয় ভ্যাজাইনিসমাস। এর ফলে তার প্রজননতন্ত্রের ভিতরে কোনো কিছু প্রবেশ করাতে পারেন না। যখনই এর ভিতরে কোনো কিছু প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেন, অমনি তা বন্ধ হয়ে যায়। চারদিক থেকে শক্ত হয়ে আটকে থাকে। রেবতী বিষয়টি বুঝতে পারেন ২২ বছর বয়সে। তবে এ নিয়ে অন্য কারো সঙ্গে কথা বলতে তিনি ছিলেন খুবই বিব্রত।
রেবেকা বলেন, এমন অবস্থায় ভবিষ্যতে আমি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবো কিনা তা নিয়ে একরকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দিল। তবু বিষয়টি আমি ভবিষ্যতের ওপর ছেড়ে দিলাম।
২০১৩ সালে চিন্ময় নামে এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তাদের প্রেম গড়ে ওঠে। প্রেম এগুতে থাকে। চিন্ময় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে চলে আসেন তাকে বিয়ে করার জন্য। তখনও রেবতী বিশ্বাস করতেন বিয়ের পর হয়তো তার সমস্যা কেটে যাবে। ২৫ বছর বয়সে বিয়ে হয় রেবতীর। বিয়ের রাতেই তিনি চিন্ময়ের কাছে তার সমস্যার কথা খুলে বলেন। শুনে চিন্ময় তা মেনে নিলেন এবং বললেন, রাতটি তাদের কাটানো উচিত একজন আরেকজনকে চেনাজানার মাধ্যমে।
কিন্তু এক বছর কেটে যায়। তাদের মধ্যে কোনো শারীরিক সম্পর্ক নেই। এ অবস্থায় রেবতী বন্ধুদের পরামর্শ নেন। তাদের অনেকে তাকে ওয়াইন পান করতে এবং প্রসারণকাজ করে এমন ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দেন। কোনো কিছুতেই কাজ না হওয়ায় রেবতী ডাক্তারের কাছে যান। তারা তাকে চিকিৎসা দেন। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয় না। এতে তারা আরো অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়েন।
অবশেষে ২০১৮ সালে কৃত্রিম উপায়ে সন্তান নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন এবং সিজারিয়ান অপারেশনের পরিকল্পনা করেন। রেবতী বলেন, যখন প্রথম অন্তঃসত্ত্বা পরীক্ষায় পজেটিভ আসে তখন আমি আনন্দে চিৎকার করেছি। কারণ, অনেক দিনের স্বপ্ন আমার সত্যি হয়েছে।
৪৮ ঘন্টার লেবার অবস্থায় থাকার পর তিনি প্রসব করেন ইভা নামের মেয়ে। এতে সহায়তা করেন দু’জন ধাত্রী। রেবতী ও চিন্ময় আশা করেন এর ফলে তারা প্রথমবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে সক্ষম হবেন।
মতিহার বার্তা ডট কম ০৭ মার্চ ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.