শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
কোকা-কোলা কম্পানি তার বিজ্ঞাপনচিত্রে ভাষার বিকৃত শব্দের ব্যাবহার

কোকা-কোলা কম্পানি তার বিজ্ঞাপনচিত্রে ভাষার বিকৃত শব্দের ব্যাবহার

নিজস্ব প্রতিবেদক : কোমল পানীয় কোকা-কোলা কম্পানি তার বিজ্ঞাপনচিত্রে কী ধরনের শব্দ ব্যবহার করেছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।

কোকা-কোলার বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বাংলা ভাষার বিকৃত শব্দ ব্যবহার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে এ প্রশ্ন তোলা হয়।

এসময় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের বিচারপতি বলেন, জীবনেও ‘প্যারা’ শব্দ শুনিনি, এ শব্দের ব্যবহার করিনি বা করতেও দেখিনি। এ কী ধরনের শব্দের ব্যবহার?

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কোমল পানীয় কোম্পানি কোকা-কোলার বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বাংলা ভাষার বিকৃত শব্দ কেন ব্যবহার করা হচ্ছে তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা।

সেই সঙ্গে বাংলা ভাষার বিকৃতি বন্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে রুল জারিরও আর্জি জানানো হয়।

আজ দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে সেই রিটের শুনানি শুরু হয়।

এদিন রিটকারী আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা কোকা-কোলার বোতল বিচারপতির সামনে হাজির করেন।

কোকা-কোলা প্রতিষ্ঠানটি এসব শব্দ ব্যবহারে ভাষার বিকৃতি করছে অভিযোগ করে রিটকারীর আইনজীবী আদালতকে বলেন, ‘অবিলম্বে বিজ্ঞাপনে ভাষার বিকৃতি বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হোক।’

অন্যদিকে কোকা-কোলার আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব-উল আলম বলেন, ‘রিটটি গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের প্রচলিত আইনে বাংলা ভাষার ব্যবহার কোনো অপরাধ নয়।’

কোকা-কোলার বোতলের গায়ে অস্থির, ফাঁপর, মাথা নষ্ট, জটিল, আগুন, পিছলা, আলু, জিনিস, গাব, সেই, ব্যাপক, জিরো, বাবা, আলপিন, আরকি ইত্যাদি শব্দে নামকরণ করে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে।

এ বিষয়টিকে বাংলা ভাষার বিকৃতির শামিল বলে মনে করছেন রিটকারী।

তিনি যুক্তি দেখান, একটা শিশু দোকানে গিয়ে বলছে, ‘আমাকে একটা প্যারা দেন’, ‘একটা মাথা নষ্ট দেন।’ আর এতে সামাজিকভাবে ও শিশুর ওপর মানসিকভাবেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

তাই এসব শব্দ ব্যবহার বন্ধ করতে রিট আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জানান, ‘টেলিভিশন ও প্রিন্টমিডিয়ায় কোকা-কোলা বেভারেজ কোম্পানির বিজ্ঞাপনে কয়েকটি বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে যা বাংলা ভাষার বিকৃতি ও শ্রীহীন মনে হয়। এটা কুরুচির বহিপ্রকাশ।’

তবে রিট আবেদনে ত্রুটি থাকায় রিটকারীর আইনজীবীকে সেটি সংশোধন করে আবারও আদালতে আসতে বলা হয়েছে।সুত্র: যুগান্তর

মতিহার বার্তা ডট কম ১১ মার্চ ২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply