শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
ভারতে উর্দু ভাষাকে ফিরিয়ে আনবে বলিউড!

ভারতে উর্দু ভাষাকে ফিরিয়ে আনবে বলিউড!

বিনোদন ডেস্ক : উর্দুকে আবার ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা করছে সালমান খান, শাহরুখ খান, ক্যাটরিনা কাইফের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দিয়ে উর্দুর প্রচার চালানোর।

ভারতের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এর অধীনস্থ ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর প্রমোশন অব উর্দু ল্যাংগুয়েজ প্রথম সারির বলিউড তারকাদের নিয়ে কিছু ভিডিও তৈরির পরিকল্পনা করছে। এই ভিডিওগুলো তারা বিভিন্ন ইভেন্টে প্রচার করার পরিকল্পনা করেছেন।

এই পদক্ষেপটি নিয়ে নানা সমালোচনা হচ্ছে ইন্টারনেটে। নেটিজেনরা ভারত সরকারকে নিয়ে ট্রল বানাচ্ছেন। এই ধরনের সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি অধিকাংশ মানুষেরই। আবার অনেকে বলছেন জাভেদ আকতার, গুলজার, শাবানা আজমি, নাসির উদ্দিন শাহ, প্রসূন জোশি এবং আরও অনেক তারকা যারা উর্দু ভাষাকে টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক কাজ করেছেন, তাদের বাদ দিয়ে অন্যায় করা হয়েছে।

সালমান, ক্যাটরিনা, শাহরুখ ভক্তদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারবে সহজেই। কিন্তু এই তারকাদের নিজেদের উর্দুজ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। উর্দু কবি ড্যানিশ হুসেন বলেছেন, ‘ক্যাটরিনা এবং সালমান সিনেমার তারকা, তাদের মূল লক্ষ্য হলো সিনেমা এবং অর্থ। তারা এত সময় কোথায় পাবেন এসব কাজ করার? তারা যদি আসলেই কোনো সেলিব্রেটি খোঁজেন, তাহলে নাসির উদ্দিন শাহ এর কাছে যান। এই ভাষা সম্পর্কে তার জ্ঞান আছে।’

মওলানা আজাদ ন্যাশনাল উর্দু ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সালমা আহমেদ ফারুকি মনে করেন, ভাষার সঙ্গে ধর্মকে জড়ানো উচিত নয়। তার মতে, উর্দুর সঙ্গে শুধু মুসলমানদের জড়ানো ঠিক নয়। গোপি চাঁদ নারং, রঘুপতি সহায়, মুনশি প্রেমচাঁদ এর মতো কিছু মেধাবী হিন্দু স্কলারও আছেন যারা উর্দু চর্চা করেন।

হায়দ্রাবাদ এর জনপ্রিয় ইতিহাসবিদ মোহাম্মদ সাইফুল্লা বলেন, ‘আমি হলে ক্যাম্পেইনের জন্য জাভেদ আখতার এবং শাবানা আজমিকে নির্বাচন করতাম।’সূত্র:কালের কণ্ঠ।

তিনি আরও জানান, ১৯৪৮ পর্যন্ত উর্দু ছিল হায়দরাবাদের অফিশিয়াল ভাষা। কিন্তু হায়দরাবাদ ভারতের অংশ হওয়ার পরে অফিশিয়াল ভাষা বদলে হয় ইংরেজি। অন্যান্য জায়গাতেও একই চিত্র। ফলে উর্দুর প্রতি মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং ধীরে ধীরে উর্দুর স্থান হিন্দি ভাষা দখল করে নেয়।

রাজশাহীর সময় ডট কম২০ মার্চ ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply