শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
উন্নয়ন করতে গিয়ে যেন মানুষের ক্ষতি না হয়: প্রধানমন্ত্রী

উন্নয়ন করতে গিয়ে যেন মানুষের ক্ষতি না হয়: প্রধানমন্ত্রী

মতিহার বার্তা ডেস্ক : উন্নয়ন করতে গিয়ে মানুষের জীবন ও জীবিকার যেন ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই উন্নয়নের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করব কিন্তু প্রকল্প নেয়ার সময় এটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে, জনগণের জন্যই তা করা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার সকালে মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম (এমআইডিআই) প্রকল্প উপস্থাপনকালে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম।

তিনি জানান, যাদের জমি-জমা নিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তাদের সঠিকভাবে ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়ে লক্ষ্য রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা দেখা গেছে (বিভিন্ন সময়ই পরিলক্ষিত হয়েছে) যাদের জমি নিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তারা কিছুই পাচ্ছেন না। কাজেই, বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে তারা যথাযথ ক্ষতিপূরণ পান।’

কক্সবাজারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এক সময় কক্সবাজারে কিছুই ছিল না। সমগ্র এলাকার জনগণ শুধু লবণ এবং পান চাষের ওপর নির্ভরশীল ছিল। বর্তমানে সরকার কক্সবাজারকে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে জেলার মাতারবাড়িসহ চর এলাকাতে শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সর্ববৃহৎ কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কয়লার জেটি এবং একটি এলএনজি টার্মিনাল মাতারবাড়িতে গড়ে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি একটি বহুমুখী সমুদ্রবন্দর, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, সড়ক-রেল সংক্রান্ত আরও বিভিন্ন প্রকল্পসহ ৩৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে শুধু মাতারবাড়ি অঞ্চলেরই নয়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও বিরাট ভূমিকা রাখবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাপান, চীন, ভারত এবং কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই মাতারবাড়িতে তাদের বিনিয়োগের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী এমআইডিআই প্রকল্পের মূল নকশা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের ব্যাপক সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড সমুদ্রতটের অবস্থান এখানেই রয়েছে। কক্সবাজারকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে।

একই সঙ্গে কক্সবাজারকে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে তোলা হচ্ছে। কক্সবাজার পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপনের কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরকে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলার কাজও এগিয়ে চলেছে।’
প্রায় ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদান কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের জন্য একটি বিরাট সমস্যা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করেছি।’

অনুষ্ঠানে প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মিরেরসরাই থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্র তীরবর্তী অর্থনৈতিক করিডোর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পাঞ্চল (ফেনী অর্থনৈতিক অঞ্চল, মিরেরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, সীতাকুণ্ডু অর্থনৈতিক অঞ্চল), মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম (এমআইডিআই) প্রকল্প এবং সাবরং ইকো ট্যুরিজম পার্ক- এ অর্থনৈতিক করিডোরের অন্তর্ভুক্ত।

কর্মকর্তারা বলেন, নির্মাণাধীন ৩৭টি প্রকল্পের মধ্যে ১৫টিই জাপান সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এক্ষেত্রে জাইকার বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ইরির মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ : আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের (ইরি) মহাপরিচালক ড. ম্যাথেও মোরেল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী দেশে ধানের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করতে ইরির এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের (ব্রি) মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ইরি এবং ব্রির মধ্যে বর্তমানে বিরাজমান সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে ইরির মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্রির সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণে ইরি আগ্রহী।

তিনি সহযোগী কর্মসূচির অধীন ইরি অনুমোদিত ১৪ দফা কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করে বলেন, এ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হলে বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হবে। বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই হবে।
১০ জনকে প্রধানমন্ত্রীর অনুদান : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসা ও জীবনযাপনের ব্যয় নির্বাহের জন্য ১০ জনকে মোট ২ কোটি ৭ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, সাংস্কৃতিক কর্মী এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত একজন এসব চেক গ্রহণ করেন।

মতিহার বার্তা ডট কম  ২৩ মার্চ ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply