শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
পুঠিয়ায় জেলা পরিষদ কর্মচারির জোগসাজোসে ৩২টি দোকান হারালো মসজিদ

পুঠিয়ায় জেলা পরিষদ কর্মচারির জোগসাজোসে ৩২টি দোকান হারালো মসজিদ

পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ পুঠিয়ায় কমিটির অবহেলার কারণে ৩২টি দোকান হরিয়েছে পুঠিয়া উপজেলা কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ। বর্তমানে মসজিটি আর্থিক অভাব-অনটনে মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।

খোজ নিয়ে জানাগেছে, পুঠিয়া ত্রিমোহনী বাজারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পুঠিয়া জামে মসজিদ এই এলাকার সবচেয়ে পুরাতন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম। মসজিদের ইমাম, মোয়জ্জেম ও খাদেমের বেতন-ভাতা প্রদানের লক্ষে ১৯৯৮ সালে মসজিদ কমপ্লেক্স সংলগ্ন জেলা পরিষদের ফাঁকা জায়গায় তৎকালীন মসজিদ কমিটি পরিচানা পরিষদ ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৩২টি দোকান ঘর নির্মান করেন।

পরে লটারীর মাধ্যমে দোকান ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়া হয়। সেসময় প্রতিটি দোকান ঘরের ভাড়া নিদ্ধারন করা হয় ২’শ থেকে ২’শ পঞ্চশ টাকা। পরবর্তীতে তা বড়িয়ে ৩’শ টাকা করা হয়। সেই মোতাবেক দোকান ঘর বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিরা নিদ্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করে আসছিলেন। তখন সচ্ছল ভাবে মসজিদটি পরিচালনা হচ্ছিলো।

পরবর্তীতে দোকান ঘর নির্মানের বিষয়টি জেলা পরিষদের দৃষ্টি গোচর হলে তারা কেন জেলা পরিষদের অনমতি না নিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে মর্মে মসজিদ কমিটিকে একটি নোটিশ পাঠায়। সেসময় মসজিদ কমিটির অবহেলার কারণে জেলা পরিষদ উক্ত দোকান ঘরগুলি বরাদ্দ দেয়নি বলে জানাগেছে।

বিষয়টি জানাজানি হলে, দোকান ঘর ভাড়া নেওয়া সুযোগ সন্ধানী কতিপয় ব্যক্তি ও জেলা পরিষদের কিছু কর্মচারির জোগসাজোসে দোকান ঘরগুলো নিজ নামে বরাদ্দ নেয় তারা। এর পর থেকে একে একে সবাই মোট ৩২টি দোকানে মালিক হন এবং মসজিদ কমিটির নির্দ্ধারিত ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন।

বর্তমানে দোকান ঘর জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ নেওয়ার পরও তিন জন মালিক মসজিদ কমিটির নিদ্ধারিত ভাড়া পরিশোদ করে থাকেন। এর পর থেকে মসজিদটি আর্থিক অভাব-অনটনের মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম তাজুল মসজিদ কমিটির অবহেলার কথা অস্বীকার করে বলেন, অনেক আগে দোকান ঘরগুলো বরাদ্দ নেওয়ার জন্য জেলা পরিষদে আবেদন করা আছে।

এব্যাপারে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার জানান, ব্যক্তি মালিকানায় দোকান ঘরগুলি বরাদ্দ দেওয়া আছে কিনা তা তিনি জানেনা।

এছাড়াও তিনি বলেন, আমারা দোকান ঘরগুলো সরকারের কাছে উচ্ছেদের আবেদন করেছি। অনুমতি পেলে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে। দোকান ঘরগুলো মসজিদ কমিটিকে বরাদ্দ দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, কাগজ পত্র নিয়ে বসার পর জানানো হবে।

মতিহার বার্তা ডট কম  ২৫ মার্চ ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply