শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লার বংশধর সাংবাদিকতা করে সংসার চালাচ্ছেন ঢাকায়!

নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লার বংশধর সাংবাদিকতা করে সংসার চালাচ্ছেন ঢাকায়!

মতিহার বার্তা ডেস্ক : নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লা। এক সময়ে বাংলার ভূমি শাসন করেছেন তিনি। দাপিয়ে রাজত্ব করেছেন সাম্রাজ্য জুড়ে। বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন এই নবাব মারা যান ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধে। তাঁর পরাজয় ও মৃত্যুর পরেই ভারতবর্ষে প্রায় ২০০ বছরের ইংরেজ শাসনের সূচনা হয়।

কিন্তু আপনি কি জানতেন? প্রায় আড়াইশো বছর আগে তিনি মারা গেলেও, তাঁর বংশধরেরা এখনও জীবিত আছেন? জানা গেছে, ঢাকা শহরের একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকেন তাঁরা। নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লার নবম বংশধর তাঁরা। ঢাকা শহরের খিলক্ষেত এলাকার লেকসিটি কনকর্ড-এর বৈকালি টাওয়ারে সপরিবার বসবাস করছেন বহু বছর ধরে। কিন্তু পরিচয় না জানিয়ে, লোকচক্ষুর আড়ালে, নীরবে নিভৃতে বাস করা বাংলার শেষ স্বাধীন নবাবের বংশধরদের খবর অনেকেই জানেন না আজও।

ঢাকা শহরে বসবাসকারী নবাবের নবম বংশধরদের এক জন সৈয়দ গোলাম আব্বাস আরেব। তিনি পেশায় এক জন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। বর্তমানে ডঃ ফজলুল হক সম্পাদিত সাপ্তাহিক পলাশি পত্রিকার সহ-সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন তিনি। তাঁর বাবা বিদ্যুত্‍ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ গোলাম মোস্তাফা। তিনি নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লার অষ্টম বংশধর। তাঁর প্রয়াত স্ত্রী সৈয়দা হোসনে আরা বেগম ছিলেন নবাবের স্ত্রী লুত্‍ফুন্নিসার রক্তের উত্তরাধিকারী। খিলক্ষেতের ওই বাসাতেই দুই ছেলে গোলাম আব্বাস আরেব, ইমু ও দুই মেয়ে মাসুমা ও মুনমুনকে নিয়ে তিনি থাকেন।

১৭৪০ সালে ইরান থেকে আসার পর ৬৬ বছর বয়সে বাংলার নবাব হন আলীবর্দি খাঁ। ১৭৩৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৯ তারিখে জন্ম হয় তাঁর নাতি নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লার। তিনি ছিলেন আলীবার্দি খাঁ-র খুবই আদরের নাতি। নবাবের মৃত্যু হয় পলাশির যুদ্ধে, ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২ জুলাই।

১৭৫৬ সালে সিরাজ-উদ-দৌল্লা বাংলার মসনদে বসেন। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশির প্রান্তরে সিরাজের পরাজয় হয়। ২ জুলাই ঘাতকের হাতে তার প্রাণ হারানোর মধ্য দিয়ে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়ে যায় বহুকালের জন্য। শেষে তাঁকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

সিরাজের বাবা জাইন উদ্দিন ছিলেন বিহারের নবাব ও আলীবর্দি খাঁ-র বড় ভাই, হাজি আহমেদের ছেলে। তাঁর মা, আমিনা বেগম ছিলেন নবাব আলীবর্দি খাঁ-র ছোটো মেয়ে। যে-হেতু আলীবর্দি খাঁ-র কোনও ছেলে ছিল না, তাই সিরাজকে নবাব প্রাণের চেয়ে বেশি ভালবাসতেন। সিরাজের ছোটোবেলা থেকেই সকলে জানতেন, তিনিই মুর্শিদাবাদের ভবিষ্যৎ উত্তরসূরী।

ভবিষ্যতের নবাব হিসেবেই ছোটোবেলা থেকে সিরাজকে সব রকম শিক্ষা দেওয়া হয়। ১৭৪৬ সালে সিরাজ আলীবর্দিকে, মিরাথাসদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাহায্য করেন। ১৭৫২ সালে, ১৯ বছর বয়সি সিরাজকে তাঁর দাদু আলীবর্দি উত্তরসূরী হিসেবে ঘোষণা করেন।

ঢাকার সঙ্গে এখনও আষ্টে-পৃষ্ঠে বাঁধা পড়ে আছে নবাব পরিবারের দুর্দিন, দুঃসময়ের জীবনকথা। সিরাজ-উদ-দৌল্লার মৃত্যুর পরে তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী লুত্‍ফুন্নিসা ও তাঁদের একমাত্র মেয়ে উম্মে জোহরাকে নবাব পরিবারের অন্য নারীদের সঙ্গে আট বছর বন্দি করে রাখা হয়েছিল বুড়িগঙ্গা পাড়ের জিঞ্জিরা এলাকার একটি প্রাসাদে। স্থানীয় লোকজন ওই জরাজীর্ণ প্রাসাদটিকে এখনও জানে ‘নাগরা’ নামে ।দ্যা ওয়াল

মতিহার বার্তা ডট কম ২৫ মার্চ ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply