কাজিম বাবু : গত (২১ মার্চ) বৃহস্পতিবার জাতীয় সোনালী খবর পত্রিকায় শেষের পাতায় ৬ ও ৭ এর কলামে সচিব ও আইজি আরের নির্দেশনা মানেনা পবা সাব রেজিষ্টার শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন পবা সাব রেজিষ্ট্রার রাশিদা ইয়াসমিন মিলি।
তিনি বলেন, এ সংবাদের প্রতিবেদক আমাকে ফোনে ভয় দেখিয়ে বলেন, পবা উপজেলার এলজিডির ঠিকাদারের আন্ডারে রোডের যে কাজগুলি হয়েছে ৪/৫ মাস আগে সে নিউজ আমি করেছিলাম। ৫’শ মিটার রোডের যেখানে ১০ লক্ষ টাকা খরচ নাই সেখানে লুটপাট করা হয়েছে। আপনার অফিসে দুর্নীতি হচ্ছে শুনে আমি আপনার অফিসে গেলাম। আপনার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে আমাকে অনেক টাকা ইনভেস্ট করতে হয়েছে।
এ বিষয়ে আপনার অফিসে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে আমাকে আপনার এজলাসে ঢুকতে দেয়া হয়নি এবং আপনার অফিসের স্টাফ আমার সাথে খারাপ আচরন করেছে। এর বিপরিতে আমি তাকে ইউএনও বা জেলা রেজিষ্ট্রার এর নিকট লিখিত অভিযোগ করার কথা বল্লে তিনি বলেন, জেলা রেজিষ্ট্রারের প্রয়োজন হয়নি। আপনি সে সময় অফিসে ছিলেন না। আমরা একটা নিউজ করলে তখন ডিসি, জেলা রেজিষ্ট্রার এবং আপনার সাক্ষাৎকার নিবো। যেমন আপনাকে বলবো আপনি এ কাজ করেছেন কি না ? অপনি যেটা বলবেন সেটায় আমি লেখবো বলেন এ প্রতিবেদক।
আমাদের একটি প্রুপ আছে আপনার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে সিনিয়র জুনিয়র, সবাই মিলে অনেক টাকা ইনভেস্ট করেছি! প্রতিবেদক আরো বলেন, আপনাদের যে সভাপতি আছে তিনি আগে বিএনপি করতেন এখন তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দুর্নীতি করছেন। এছাড়াও তিনি অনেক অবান্তর প্রশ্ন করেন।
সাব রেজিষ্ট্রার রাশিদা ইয়াসমিন মিলি বলেন, আমাদের অফিসে সমস্যা কি ? উত্তরে প্রতিবেদক বলেন, সমস্যা তো অনেক, যে যার মতো ইনকাম করে খাচ্ছেন। এছাড়াও সাংবাদিক পরিচয়ধারি এ প্রতিবেদক অনেক অসংলগ্ন প্রশ্ন করেন। আমি সন্ধিহান যে সে আদৌ সাংবাদিক কি না ? মিলি আরো বলেন, প্রতিবেদক আমার সাথে মুঠোফোনে ২১ মিনিটি ৫৭ সেকেন্ড কথা বলেছেন। অথচো আমার সাথে আলাপ চারিতার একটি কথাও তার সংবাদে লিখেন নাই। কিন্ত তিনি কথা বলার সময় আমাকে বলেন, আপনি যা বলবেন আমি তাই লিখবো।
এছাড়াও মুঠো ফোনে সাংবাদিক পরিচয়দারী প্রতিবেদক বলেন, আমাদের বসের জন্য ১লক্ষ টাকা আর আমার জন্য ২০ হাজার টাকা দিলে নিউজ করবো না। যাহা মোবাইলে রেকর্ড রয়েছে। পরিশেষে সাব রেজিষ্ট্রার বলেন আমার উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের জন্য বিজ্ঞ আদালতের দারস্থ হবো।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা রেজিষ্ট্রার মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার যে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, তিনি একজন গুড অফিসার। তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ আমাদের অফিসে নেই।
তিনি আরো বলেন, যারা এ সংবাদ প্রকাশ করেছে তারা একটি সংঘবদ্ধ (সিন্ডিকেট) প্রতারক চক্র। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার কথাও বলেন এ কর্মকর্তা।
মতিহার বার্তা ডট কম ২৬ মার্চ ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.