শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনে আনসার সদস্যদের কাছে ঘুষ বাণিজ্য অভিযোগ

সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনে আনসার সদস্যদের কাছে ঘুষ বাণিজ্য অভিযোগ

 গোদাগাড়ী প্রতিনিধি : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচনে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ৯৪ টি ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের ডিউটি না দেবার ভয় দেখিয়ে বাধ্যতা মূলক ৪০০/৫০০ করে ঘুষ বাণিজ্য করেছেন কর্মকর্তারা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ আনসার ভিডিপির সদস্যদের মাঝে । রাজশাহী জেলা গোদাগাড়ী উপজেলায় ৯৪ টি কেন্দ্রের ১১২৮ জন দায়িত্বরত আনসারের কাছ থেকে প্রায় ৪ লক্ষ ৫১ হাজার ২০০ টাকা ঘুষ আদায় করেছেন উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তারা।

এ ঘটনায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীরা গত সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনে গোদাগাড়ীতে দায়িত্বরত আনসার সদস্যগন সাংবাদিকদের নিকট এই অভিযোগ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আনসার সদস্য বলেন,গ্রুপ কমান্ডার (পিসি) আমার কাছে ৫০০ টাকা দাবি করার প্রতিবাদ করে থানা কমান্ডার মেরাজুল স্যারের কাছে অভিযোগ করলে তিনি আমাকে বলেন সবাই টাকা দিচ্ছে আপনার সমস্যা কোথায়,পরবর্তীতে আমাকে বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হয়েছে এবং আমার মত সবাই কে বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হয় আমরা এর প্রতিকার চাই।রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার ৯৪টি কেন্দ্রের প্রত্যেক কেন্দ্রে ১২ জন আনসার সদস্য এবং দুইজন গ্রুপ কমান্ডার (পিসি)(এপিসি) দায়িত্ব পালন করেন।

সেই হিসেবে উপজেলায় মোট ১হাজার ১২৮ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত (কমান্ডার বাদে) ছিলেন। নির্বাচনকালীন ছয়দিন ডিউটি হিসাব করে প্রত্যেক আনসারের জন্য ৪ হাজার ৫৭৫ টাকা এবং গ্রুপ কমান্ডারদের প্রত্যেকের জন্য ৫ হাজার ৫৭৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্বাচন শেষে আনসারদের মাঝে বরাদ্দ টাকা বিতরণ করা হয়। উক্ত ১১২৮ জন আনসার সদস্যের কাছ থেকে প্রায় চারশ টাকা হারে ৪ লাখ ৫১হাজার ২০০ টাকা ঘুষ নিয়েছেন উপজেলা কমান্ডার মেরাজুল ইসলাম । এর মধ্য থেকে কিছু টাকা নিয়েছেন গ্রুপ কমান্ডাররা।

বাকি টাকা উপজেলা কমান্ডার মেরাজুল ইসলাম সহ অন্য কর্মকর্তারা ভাগ করে নিয়েছেন। এ বিষয়ে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপজেলা কমান্ডার মেরাজুল ইসলামের নিকট যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,গোদাগাড়ী উপজেলার ৯৪ টি কেন্দ্রের পিএস,এ পিএস দের আমি,আনসার সদস্যদের নিকট টাকা পয়সা নিতে নিষেধ করেছি তারপরও যদি নিয়ে থাকে সেটা অন্যায় কাজ।তবে এই ঘূষের টাকা আমি নেইনি।অযথা একটি মহল আমাকে ফাসাতে চেষ্টা করছে। উপ-পরিচালক, মোঃ আমমার হোসেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ‘আমার কাছে এ ধরনের কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

মতিহার বার্তা ডট কম  ৩০ মার্চ ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply