শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
সমাজ সেবা কর্মকর্তার উদাসীনতায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেনা শিক্ষা বৃত্তির টাকা

সমাজ সেবা কর্মকর্তার উদাসীনতায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেনা শিক্ষা বৃত্তির টাকা

মতিহার বার্তা ডেস্ক : বগুড়ার ধুনট উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তার উদাসীনতায় প্রায় ২ বছর ধরে ১৯৫ জন হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ব্যাংক থেকে শিক্ষা বৃত্তির টাকা উত্তোলন করতে পারছে না। ফলে আর্থিক সংকটে চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে তাদের লেখাপড়া।

উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ১৯৫ জন হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে প্রায় ১০ বছর ধরে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত শিক্ষা বৃত্তির টাকা প্রদান করা হয়। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের স্ব-স্ব নামে সোনালী ব্যাংক ধুনট শাখায় হিসাব নম্বর খোলা আছে।

উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয় থেকে শিক্ষা বৃত্তির চেক নিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে এসব প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা। কিন্ত ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অজ্ঞাত কারণে উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয় থেকে শিক্ষা বৃত্তির চেক প্রদান করা হচ্ছে না।

উপজেলার ফড়িংহাটা গ্রামের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী আব্দুর রহিমের বাবা আব্দুর রশিদ বলেন, আমার ছেলের নামে প্রতি মাসে ৭০০ টাকা করে শিক্ষা বৃত্তির চেক দেয়া হয়। প্রায় ২ বছর ধরে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে ঘুরে ঘুরে ছেলের শিক্ষা বৃত্তির টাকার চেক মিলছে না। শিক্ষা বৃত্তির চেক চাইলে অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দুর্ব্যবহার করে। বৃত্তির টাকা না পাওয়ায় আর্থিক সংকটে ছেলের লেখাপড়া ব্যহত হচ্ছে।

উপজেলার বহালগাছা গ্রামের বৃত্তিপ্রাপ্ত নাইছ আকতারের হতদরিদ্র বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ের নামে প্রতি মাসে ৭০০ টাকা করে শিক্ষা বৃত্তির টাকা বরাদ্দ রয়েছে। কিন্ত প্রায় ২ বছর ধরে শিক্ষা বৃত্তির টাকার চেক পাচ্ছি না। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তার উদাসীনতায় আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ হয়রানির শিকার হচ্ছি।

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল আলিম বলেন, আমি এ উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। প্রায় ২ বছর ধরে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বৃত্তির টাকার চেক কেন পাচ্ছে না, তা আমি সঠিক করে বলতে পারছি না।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, সমাজ সেবা কর্মকর্তার পদ শুন্য থাকায় দাপ্তরিক কার্যক্রম অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা বৃত্তির চেক বিতরণ বন্ধ থাকার কথা না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বগুড়া সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলাম খান বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ বলেনি। তারপরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে থেকে বিষয়টি জেনে জরুরিভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুত্র: জাগো নিউজ

মতিহার বার্তা ডট কম ০৩ এপ্রিল ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply