শিরোনাম :
নগরীর মতিহারে বিল্ডিং নির্মান বন্ধের হুমকি! ভয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিলেন বিধবা নারী (ভিডিও) গোদাগাড়ীতে ১০লাখ টাকার হেরোইন-সহ ৩জন মাদক কারবারী গ্রেফতার নগরীর তালাইমারীতে গাঁজা কারকারী মল্লিক গ্রেফতার রাজশাহীতে প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু রিভার সিটি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রুয়েটকে স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রুপান্তর করতে হলে সকল ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী চিপস্ খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ৬ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ চেষ্টা: আসামি নাইম গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে আরএমপি’র নোটিশ জারি তানোরে ক্লুলেস হত্যা মামলার পলাতক আসামি ইকবাল গ্রেফতার কৃষিতে বির্পযয়ের আশঙ্কা তানোরে চোরাপথে আশা মানহীন সারে বাজার সয়লাব বাঘায় বাবুল হত্যা মামলায় চেয়ারম্যানসহ ৭ জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ
রাজশাহীতে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে চরমপন্থীরা

রাজশাহীতে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে চরমপন্থীরা

মতিহার বার্তা ডেস্ক : আশি আর নব্বইর দশকজুড়ে রাজশাহীর বাগমারায় ছিল চরমপন্থী সর্বহারাদের আধিপত্য। কেউ ছিল পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (লাল পতাকা) আবার কেউ বা ছিল মাওবাদী চরমপন্থী।

শ্রেণী-শক্র খতমের নামে জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষকে জবাই ও গুলি করে খুন করাই ছিল তাদের অন্যতম কাজ। ভয় দেখিয়ে সর্বহারারা আগে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করত লোকজনের কাছে।

চাঁদা না পেলেই খুন করত। এদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা ও জীবনযাপনই ছিল আরাধ্য। এ সর্বহারারা ২০০৭ সালে বাগমারায় পুলিশ ফাঁড়ি জ্বালিয়ে সব অস্ত্র লুট করেছিল এবং খুন করেছিল ৩ পুলিশ সদস্যকে।

এদিকে রক্তাক্ত জনপদ খ্যাতি পাওয়া বাগমারার পরের ইতিহাসও নির্যাতন আর সহিংসতার। বাগমারায় চরমপন্থী সর্বহারারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠলে তাদের দমনে নামে জেএমবি।

সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই আর শায়খ আবদুর রহমানের নেতৃত্বে জেএমবির অভিযানে চলে সর্বহারা নিধনের কাজ। জেএমবির ভয়ে অনেক সর্বহারা ক্যাডার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। জেএমবির হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে কেউ কেউ আত্মসমর্পণ করে ঢুকে পড়ে কারাগারে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেএমবিকে উৎখাত করে সন্ত্রাসের জনপদ বাগমারায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করে।

রাজশাহী জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা সূত্রে জানা যায়, জেএমবির উৎখাতের পর আবারও বাগমারায় সক্রিয় হয়েছে চরমপন্থী সর্বহারার দল। রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে জেলমুক্ত সর্বহারা ক্যাডার আবদুর রাজ্জাক ওরফে আর্ট বাবুর নেতৃত্বে সর্বহারারা চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে আবারও খুনের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। অস্থির করে তুলছে বাগমারা ও আশপাশের জনপদ।

ফলে চরমপন্থী সর্বহারাদের নিষ্ক্রিয় করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে আত্মসমর্পণের উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ৯ এপ্রিল পাবনা জেলা স্টেডিয়ামে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলা ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের কুষ্টিয়া জেলার তালিকাভুক্ত পাঁচ শতাধিক চরমপন্থী সর্বহারা অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। যাদের মধ্যে ৬২ জন রাজশাহীর তালিকাভুক্ত চরমপন্থী।

বাগমারা থানার ওসি নাসিম আহম্মেদ জানান, এক ডজন হত্যা মামলার আসামি আবদুর রাজ্জাক ওরফে আর্ট বাবুর নেতৃত্বে বাগমারার ৪০ জনসহ জেলার ৬২ চরমপন্থী ক্যাডার ওইদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারির উপস্থিতিতে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করবেন। ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহা. শহীদুল্লাহ জানান, আত্মসমর্পণের পর তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে সরকার সহায়তা করবে। তবে যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের মামলা রয়েছে সেগুলো প্রচলিত আইনি প্রক্রিয়াতেই সমাধান হবে। চরমপন্থীদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে এ উদ্যোগ হলেও কাউকে সাধারণ ক্ষমা দেয়া হবে না।

এদিকে আত্মসমর্পণের তালিকায় নাম থাকা বাগমারার হামিরকুৎসা এলাকার এক সময়ের সর্বহারা ক্যাডার জানায়, তারা সর্বহারা ক্যাডার আর্ট বাবুর নেতৃত্বে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুলিশ তাদের বলেছে, আত্মসমর্পণ করলে তাদের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার করা হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন সহায়তার মাধ্যমে তাদের স্বাভাবিক জীবনে পুনর্বাসন করা হবে। বাগমারার সর্বহারা ক্যাডারদের আরও অনেকেই জানিয়েছেন, সাধারণ ক্ষমার শর্তেই তারা আত্মসমর্পণ করছেন।সুত্র:যুগান্তর

মতিহার বার্তা ডট কম  ০৪ এপ্রিল  ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply