আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছে মাত্র ক’দিন আগে। আর এর মধ্যেই রাজনৈতিক বক্তৃতায় ক্রমশ ‘আক্রমণাত্মক’ হয়ে উঠছেন নুসরত জাহান। দিনহাটা ও মাথাভাঙায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যোগ দিয়ে মোদী-শাহদের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের নবাগতা প্রার্থী নুসরত।
বাংলায় মোদী-শাহের ভোটপ্রচারকে নিশানা করে নুসরতের কটাক্ষ ‘‘ওরা পরিযায়ী পাখির মতো।’’ এরপরই মোদীকে বিঁধে বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘‘বাংলায় এসে মানুষের সামনে মিথ্যা কথা বলেন, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন। আমরা চপ খেতে ভীষণ ভালবাসি। কিন্তু এই ঢপের চপ তো আমাদের দিলে চলবে না!’’
মোদীকে আক্রমণ করে এদিন ঠিক কী বলেছেন নুসরত? মাথাভাঙার সভায় এই টলি গ্ল্যামার ক্যুইন বলেন, ‘‘শীতকালে দেখবেন আমাদের গ্রামে নদীর ধারে প্রচুর নতুন পাখি দেখা যায়। সারা বছর দেখা যায় না। শুধুমাত্র শীতকালে দেখা যায়। সে রকমই নির্বাচনের আগে কিছু লোক বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন, তাঁদের পরনে গেরুয়া কুর্তা থাকে, তাঁরা নিজেদের নেতা বলেন। তাঁরা মানুষের সামনে এসে মিথ্যা কথা বলেন, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর গো-হারান হেরে বাড়ি চলে যান। কিন্তু আবার আসেন।
তাঁরা কি বাংলার মানুষকে বোকা ভাবেন? বাংলার মানুষ সাদামাটা, বোকা তো নয়।’’ এরপর মোদীকে কটাক্ষ করে বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী আরও বলেন, ‘‘আমরা ভীষণ চপ খেতে ভালবাসি। সে আলুর চোপ হোক কী মোচার চপ। কিন্তু এই ঢপের চপ আমাদের দিলে তো চলবে না!’’
প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করতে এদিন নুসরত কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্প প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘‘কন্যাশ্রী প্রকল্পকে টুকেছেন আমাদের মোদীজি। আর নাম দিয়েছেন বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও।
দুই প্রকল্পের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ।’’ এ প্রসঙ্গে মমতার ভূয়সী প্রশংসা করে নুসরত বলেন, ‘‘আজকে বাংবার মেয়েরা মাথা উঁচু করে বেঁচে রয়েছেন এবং এগিয়ে চলেছেন। আমাদের দিদি মানুষের জন্য যা করেছেন, সেটা করার ক্ষমতা অন্য কেউ রাখে না। বাংলার প্রতিটি মানুষ আজ দিদি মমতার আঁচলে সুরক্ষিত।’’
বিভাজনের রাজনীতি নিয়েও সরব হন নুসরত। এদিন তিনি বলেন, ‘‘বাংলার নানুষ শান্তিপ্রিয়। ধর্মীয় ভেদাভেদ আমরা মানি না, জাতি ভেদাভেদ মানি না। ধর্ম আমাদের পরিচয় নয়। আমার নাম নুসরত জাহান, আমি মুসলিম হলেও সব ধর্মকে সম্মান করি।’’
কেন্দ্রীয় বাহিনীর পর্যবেক্ষণে নির্বাচনী প্রক্রিয়া প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খুলেছেন নুসরত। নবাগতা তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী তো আগেও ছিল। ২০০৪ সালে আমরা ৮টা আসন জিতেছিলাম। ২০০৯ সালে ৩ দফায় ভোটে ১৯টিতে জিতেছি।
তখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। ২০১৪ সালে আমরা জিতেছিলাম ৩৪টিতে। ২০১৯ সালে যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক না কেন, বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ আর বিজেপি এবার ফিনিশ।’’ ‘আক্রমণাত্মক’ বক্তৃতার শেষে এদিন মাথাভাঙার সভায় গানও গেয়েছেন নুসরত।
মতিহার বার্তা ডট কম ০৫ এপ্রিল ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.