শিরোনাম :
১০০ কোটি ডলার খরচ করে মহাকাশকেন্দ্র ধ্বংস করছে নাসা! নেপথ্যে কোন ‘বিশেষ’ পরিকল্পনা? চিনকে রুখতে প্রশান্ত মহাসাগরে ‘ক্ষেপণাস্ত্র প্রাচীর’ তৈরি করছে আমেরিকা, সঙ্গে থাকছে কোন কোন দেশ? পেশায় মডেল, কিন্তু মানুষ নয়, মাসে রোজগার ১০ লক্ষ টাকা, সুন্দরীকে ঘিরে বাড়ছে রহস্য পবিত্র মসজিদ-ই-নববীতে অর্ধকোটির বেশি মুসল্লি হাজার বছরে পবিত্র মসজিদুল আকসার সংস্কার কার্যক্রম সোনার দামে রেকর্ড, ভরি ১ লাখ ৮১২৫ টাকা অস্ট্রেলিয়ার বাড়ি বিক্রি করে দিচ্ছেন পাকিস্তানের বিশ্বজয়ী ক্রিকেট দলের অন্যতম নায়ক ফেলের ভয়ে আত্মহত্যা, ফলাফলে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ : ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৩ কোটি টাকা লোকসান ৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি
প্রতিবছর দেশ থেকে ৭০-৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে

প্রতিবছর দেশ থেকে ৭০-৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে

মতিহার বার্তা ডেস্ক : দেশে এখন ৭ লাখ কোটির বেশি কালো টাকা আছে। যা দেশের দুটি বাজেটের সমান। এ ছাড়াও প্রতিবছর দেশ থেকে ৭০-৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই কালো টাকা অর্থনীতিতে আনা এবং পাচার রোধে আগামী বাজেটে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত এসব কথা বলেন।

এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় এনবিআরের একাধিক সদস্য এবং অর্থনীতিবিদ ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর বিকালে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) প্রতিনিধিরা প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নেন। বক্তারা বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে কর কাঠামোয় পরিবর্তনসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।

আবুল বারকাত বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ৭ লাখ কোটির বেশি কালো টাকা আছে। যা সরকারের দুটি অর্থবছরের বাজেটের সমান। অর্থাৎ এ টাকা দিয়ে সরকার দুটি অর্থবছরের বাজেট পরিচালনা করতে পারবে।’ তিনি বলেন, সব কালো টাকা উদ্ধার করে, একসঙ্গে অর্থনীতির মূলস্রোতে আনা সম্ভব নয়। তবে কীভাবে অর্থনীতিতে আনা যায় বাজেটে তার একটি পরিকল্পনা থাকা দরকার। আসছে বাজেটে অন্তত ২৫-৩০ হাজার কোটি টাকা যাতে উদ্ধার করা যায়, সেই প্রণোদনা থাকা উচিত।

আবুল বারকাত বলেন, প্রতিবছর ৭০-৮০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। তা রোধেও বাজেটে সুস্পষ্ট উদ্যোগ রাখা দরকার। এ ছাড়াও মাদক ও চোরাচালানের বিষয়ে গুরুত্বারোপের সময় এসেছে বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে ফিকির অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দেশের শেয়ারবাজার ও বন্ডের বাজারের বিনিয়োগকারীদের আরও প্রশিক্ষণ দেয়া জরুরি। কারণ বিনিয়োগকারীদের ফটকা ব্যবসায় বিশ্বাসী। আর দীর্ঘমেয়াদে এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হন। তিনি বলেন, শেয়ারবাজার নিয়ে কেউ একটি কথা বললে পরের দিন বাজারে এর প্রভাব পড়ে।

ফিকি নেতাদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, বাজারে গ্রামীণফোন বড় স্টকহোল্ডার। কিন্তু আরও কয়েকটি ফোন কোম্পানি রয়েছে। এদেরও কীভাবে কর ছাড় সুবিধা দেয়া যায়, তা বিবেচনা করা হবে। কারণ আমরা চাই অন্যদের ব্যবসাও বাড়–ক। না হলে গ্রামীণফোনের আধিপত্য আরও বাড়বে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগামী বাজেটে বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক শুল্ক ও সম্পূরক শুল্কের ব্যাপারে সতর্ক থাকবে এনবিআর। কারণ সরকার পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে চায়। তার মতে, পণ্যের ব্যবহার কমলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ফিকির নেতারা বলেন, শেয়ারবাজারের বিকাশের স্বার্থে বাজেটে প্রণোদনা দেয়া দরকার। বর্তমানে বাজার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এ সময় তারা শেয়ারবাজারের উন্নয়নের জন্য ব্যাংক আমানতের সুদের হার কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ফিকির নেতাদের মতে, ব্যাংকের আমানতের সুদের হার কমলে বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজারে আসবে।

এতে বাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়বে। টেলিফোন কোম্পানিগুলোর ব্যাপারে তারা বলেন, দেশে সব পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কিন্তু টেলিফোনের কলরেট কমছে। এ ছাড়াও ফোন কোম্পানিগুলো ১০০ টাকা বিক্রি করলে (গ্রস সেল) তার ৪৬ টাকা সরকারকে দিতে হয়। অর্থাৎ কঠিন অবস্থার মধ্যে কোম্পানিগুলো টিকে আছে।

তারা বলেন, বর্তমানে আয়কর অধ্যাদেশ ৩০জি অনুসারে বিদেশি কোম্পানিগুলো তাদের মুনাফার ১০ শতাংশ প্রধান কার্যালয়ের খরচ হিসেবে নিতে পারে। সীমাটি তুলে দেয়া উচিত। কারণ বিশ্বের অন্যান্য দেশে খরচ নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো সীমা নেই। সুত্র: যুগান্তর

মতিহার বার্তা ডট কম  ১১ এপ্রিল  ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply