নিজস্ব প্রতিবেদক: রাবি শিক্ষক শফিউল হত্যা মামলায় বিএনপি নেতাসহ অন্যরা খালাস, ৩ জনের ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বিএনপি কর্মী আব্দুস সালাম পিন্টু, যুবদল নেতা আরিফুল ইসলাম মানিক ও সবুজ শেখ। সবুজ পলাতক রয়েছে।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জল, পিন্টুর স্ত্রী নাসরিন আক্তার রেশমা, সিরাজুল ইসলাম কালু, আল-মামুন, সাগর, জিন্নাত, আরিফ ও ইব্রাহীম খলিল ওরফে বাবু।
সোমবার সকাল ১১ টায় রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শফিউল ইসলাম লিলন হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়। বিচারক অনুপ কুমার এ রায় ঘোষণা করেন।রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এন্তাজুল হক বাবু বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ট্রাইব্যুনালের পিপি যুক্তি উপস্থাপন করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে। মামলায় মোট ৩৩ জনের সাক্ষী দিয়েছেন।খালাস জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ড. শফিউল ইসলামকে। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মুহাম্মদ এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ওই বছরেরই ২৩ নভেম্বর যুবদল নেতা আব্দুস সামাদ পিন্টুসহ ছয় জনকে আটক করে র্যাব। পরে পিন্টুর স্ত্রী নাসরিন আখতার রেশমাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে দায় স্বীকার করে রেশমা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। এর এক বছর পর ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রেজাউস সাদিক রাজশাহী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখায় কর্মরত নাসরিন আখতারের সঙ্গে শফিউল ইসলামের দ্বন্দ্বের জের ধরেই তার স্বামী যুবদল নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। পরে নাসরিন আখতারও বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
মতিহার বার্তা ডট কম ১৫ এপ্রিল ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.