বাবুল আক্তার : চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে নগরীর আসাম কলোনী এলাকায় একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় চন্দ্রিমা থানায় একটি চুরির মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন ভুক্তভোগী মাবিয়া বেগম (৪০) নামের এক নারী।
মামলা সুত্রে জানা যায়,পবা রাইস মিলপাড়া এলাকার মৃত হাসেমের ছেলে মারফত (৪০) ও তার স্ত্রী জেসমিন বেগম পলি (২৮) নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে গত পাঁচদিন আগে ওই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে আসেন।
গত ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই বাড়িতে ভাড়াটিয়া জেসমিন বেগম পলি খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেন। এবং দাওয়াত করেন বাড়ির মালিক মাবিয়াকে, সেই খাবার মধ্যে ছিলো মিষ্টি ও তেহেরী। পলি আগে থেকেই ওই খাবের সঙ্গে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে রেখেছিলেন। মাবিয়া খাওয়ার পরে অজ্ঞান হয়ে যায়। এই সুযোগে ভারাটিয়া পলি সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়। পরের দিন সকালে মাবিয়ার জ্ঞান ফিরলে দেখতে পায় নিজ ঘরের স্টীলের আলমারী খোলা।আলমারীতে থাকা স্বর্ণ রোপ্য ও নগদ টাকাসহ প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় অনেক খোঁজা খুজি করার পর মারফত ও পলিকে খুজে আটক করা হয়। লোকজন চোর হিসেবে মারধর শুরু করলে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার মারফতের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়।
চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, অভিযুক্তরা সম্পর্কে মা ও ছেলে, তারা বাসা বাড়িতে কাজ নেয় এবং কিছুদিন কাজ করে সুযোগ বুঝে টাকা ও স্বর্ণসহ মূল্যবান জিনিষ পত্র চুরি করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, জেসমিন বেগম পলির বিরুদ্ধে পূর্বের ৩টি মামলা রয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে তাদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
মতিহার বার্তা ডট কম ১৮ এপ্রিল ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.