শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
আইআরএ গোষ্ঠীর হামলায় নিহত মহিলা সাংবাদিক

আইআরএ গোষ্ঠীর হামলায় নিহত মহিলা সাংবাদিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নতুন করে উত্থান শুরু হল আইরিশ রিপাবলিকান আর্মি (আইআরএ) সংগঠনের৷ কারণ, এই গোষ্ঠীর কিছু সদস্যের হামলায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা সাংবাদিকের৷ বিক্ষিপ্ত হামলা চলছে দেশটির উত্তরাঞ্চলে৷ বিবিসি ও ফক্স নিউজের খবর, নিহত সাংবাদিকের নাম ম্যাক কি৷ তিনি সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করছিলেন ৷

ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্যা গার্ডিয়ান জানাচ্ছে, আয়ারল্যান্ডের উত্তরভাগের লন্ডনডেরি শহরে বেশ কিছু বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এর জেরে শুরু হয় সংঘর্ষ৷ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ সেই সময় আইরিশ রিপাবলিকান আর্মির সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ শুরু হয় সংঘর্ষ৷ খবর সংগ্রহের কারণে কাছাকাছি ছিলেন ম্যাক কি৷ আচমকা গুলি লিগে তাঁর মৃত্যু হয়৷ ম্যাক কি উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজধানী বেলফাস্টের বাসিন্দা৷

জানা গিয়েছে, অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে খবর পাঠাচ্ছিলেন ম্যাক কি৷ পুরো পরিস্থিতিকে বর্ণনা করেছিলেন ‘পাগলের কাজ’৷ সেই ছবি সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করেন তিনি৷ কিছু পরে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক হামলবাজ৷ ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন।

উত্তর আয়ারল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে, লন্ডনডেরি শহরে বৃহস্পতিবার রাতে রিপাবলিকান আর্মির সদস্যরা বেশ কিছু গাড়ি ছিনতাই করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ ছড়ায়৷ তার জেরে পরিস্থিতি রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে৷

ইউরোপের অন্যতম সশস্ত্র সংগঠন আইরিশ রিপাবলিকান আর্মি৷ সংগঠনটি ১৯২২ সাল থেকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে চলেছে৷ মূলত আইরিশ-ব্রিটিশ বিরোধিতা থেকেই সংগঠনটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে৷ একাধিক নাশকতা ও হামলায় জড়িত এই সংগঠন৷ পরে ১৯৬৯ সালে সংগঠন ভেঙে দু টুকরো হয়৷ ১৯৭৫ সাল নাগাদ একবার শান্তি চুক্তিতে এসেছিল তারা৷ পরে মাঝে মধ্যেই তারা হিংসাত্মক আচরণ চালায়৷

মতিহার বার্তা ডট কম  ১৯ এপ্রিল  ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply