শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক পরিচয়

বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক পরিচয়

মতিহার বার্তা ডেস্ক : মধুমতির কোলঘেঁষে ছোট্ট একটি সবুজ গ্রাম টুঙ্গিপাড়া। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই টুঙ্গিপাড়াতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বংশীয় গোড়াপত্তন শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর পূর্ব পুরুষেরা ছিলেন ইরাক থেকে আগত দরবেশ শেখ আউয়ালের বংশধর।

ইতিহাস ঘেটে জানা যায় ১৪৬৩ খ্রিস্টাব্দের দিকে বায়েজিদ বোস্তামি (রহ:) এর সঙ্গী হিসেবে শেখ আউয়াল এ বঙ্গীয় এলাকায় ইসলাম প্রচারের জন্য আসেন। বায়েজিদ বোস্তামি (রহ:) একদিন শেখ আউয়ালকে নির্দেশ দেন মেঘনা পাড়ের এলাকায় গিয়ে ইসলাম প্রচার করার জন্য। গুরুর আদেশ মেনে শেখ আউয়াল চলে আসেন মেঘনা বিধৌত সোনারগাঁও-এ। বিয়ে করেন স্থানীয় এক বাঙালি কন্যাকে। জন্ম হয় শেখ জহিরুদ্দিন নামের এক পুত্র সন্তান।

পরবর্তীতে শেখ জহিরুদ্দিনের সন্তান তেকড়ী শেখ সোনারগাঁ ছেড়ে ব্যবসার উদ্দেশ্যে খুলনায় পাড়ি জমান। তেকড়ী শেখের সন্তান শেখ বোরহান উদ্দিন মধুমতি ও ঘাঘোর নদীর মাঝখানে জেগে ওঠা টুঙ্গিপাড়া গ্রামটির কথা শোনেন তাঁর এক বন্ধুর কাছে। রূপসা নদী পাড়ি দিয়ে একদিন তিনি বন্ধুর সাথে চলে আসেন টুঙ্গিপাড়ায়। বিয়ে করেন কাজী পরিবারে, ঘর বাঁধেন চিরকালের জন্য। এভাবেই টুঙ্গিপাড়ায় শেখ পরিবারের গোড়াপত্তন ঘটে।

বোরহান উদ্দিনের ছিল তিন পুত্র সন্তান। তারা হলেন: শেখ আকরাম, শেখ তাজ মোহাম্মদ ও শেখ কুদরতুল্লা। শেখ আকরামের ছিল দুই ছেলে- শেখ জাকির ও শেখ ওয়াসিম। বঙ্গবন্ধুর দাদা শেখ আব্দুল হামিদ ছিলেন শেখ জাকিরের সন্তান। শেখ জাকিরের তিন ছেলে- শেখ আব্দুল মজিদ, শেখ আব্দুল রাসেল ও শেখ আবদুল হামিদ।

শেখ আবদুল হামিদের তিন ছেলে- শেখ লুৎফর রহমান, শেখ শফিউর রহমান ও শেখ হাবিবুর রহমান। ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ শেখ আব্দুল হামিদের ছেলে শেখ লুৎফর রহমানের ঘর আলো করে জন্ম নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর মাতার নাম সায়েরা খাতুন।

শেখ লুৎফর রহমান ও সায়েরা খাতুনের চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে বঙ্গবন্ধু ছিলেন তৃতীয় সন্তান। তার বড় বোন ফাতেমা বেগম, মেজ বোন আছিয়া বেগম, সেজ বোন হেলেন ও ছোট বোন লাইলী; তার ছোট ভাইয়ের নাম শেখ আবু নাসের।

১৯৩৪ সনে শেখ মুজিব ১৪ বছর বয়সে দূর সম্পর্কের চাচাতো বোন শেখ ফজিলাতুন্নেসার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বঙ্গবন্ধু ও শেখ ফজিলাতুন্নেসা দম্পতির ঘরে দুই কন্যা এবং তিন পুত্রের জন্ম হয়। কন্যারা হলেন শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা। আর পুত্রদের নাম শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেল।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলেও ওই সময় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। শেখ হাসিনার একমাত্র পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। অন্যদিকে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও দুই কন্যা যথাক্রমে টিউলিপ সিদ্দিকী ও আজমিনা সিদ্দিক।

মতিহার বার্তা ডট কম – এপ্রিল, ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply