মতিহার বার্তা ডেস্ক : কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ভাগ্নিকে খুঁজতে এসে এক মামী (৩২) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় রঞ্জু মিয়া (৫২) ও জেলহক (৪৫) নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
পরে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে চিলমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।আজ শুক্রবার দুপুরে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগী নারীসহ আরও তিনজন তাদের এক ভাগ্নিকে খুঁজতে পূর্ব-পরিচিত রঞ্জু মিয়ার কাছে টাঙ্গাইল থেকে চিলমারী আসেন।
তাদের ভাগ্নি গত ২৮ মার্চ পরকীয়ার টানে দিনাজপুরের হারুন মিয়ার (৪৫) সঙ্গে চিলমারীতে পালিয়ে আসেন। এর আগে একই ঘটনায় রঞ্জু মিয়া তাদের সহায়তা করেছিলেন। দ্বিতীয়বার তারা রঞ্জু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে চিলমারীতে আসেন।বুধবার সন্ধ্যায় ভাগ্নিকে উদ্ধার করে দেওয়ার কথা বলে জেলহক মাঝির নৌকায় তাদেরকে চিলমারীর কড়াই বরিশাল চরে নিয়ে যান রঞ্জু।
মিয়া সেখানে রঞ্জু চালাকি করে পরিবারের বাকি তিনজনকে অপেক্ষা করতে বলে ওই নারীকে তার ভাগ্নির কাছে নিয়ে যাচ্ছেন মর্মে অন্য এক জায়গায় নিয়ে যান।সেখানে নিয়ে রঞ্জু ও জেলহক ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। পরে তারা মুঠোফোনে আরও দুই সহযোগীকে ডেকে নিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করান।
সেই সঙ্গে ঘটনা চেপে না গেলে ওই নারীকে হত্যার ভয় দেখান তারা।পরদিন ভোরে ৯৯৯ নম্বরে সহযোগিতা চেয়ে পুলিশকে ফোন করেন ভুক্তভোগী নারী। পরে পুলিশ সুপারের নেতৃত্ব বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে রঞ্জু ও জেলহককে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘ভিকটিম চিলমারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। পুলিশ বাকি দুই ধর্ষকদের খুঁজতে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে।’সুত্র: আমাদের সময়
মতিহার বার্তা ডট কম ২৭ এপ্রিল ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.