পচা ডিমে, কেক ও পোড়া মবিলে ভাজা হয় চানাচুর

পচা ডিমে, কেক ও পোড়া মবিলে ভাজা হয় চানাচুর

মতিহার বার্তা ডেস্ক : নষ্ট দুর্গন্ধযুক্ত তেল দিয়ে ভাজা হয় বিস্কুট, পচা ডিম দিয়ে তৈরি করা হয় কেক, আর পুড়া মবিল দিয়ে ভাজা হয় চানাচুর। এসব তৈরির পরিবেশ পুরোই অস্বাস্থ্যকর। কারখানায় ময়লা আবর্জনার স্তুপ। দুর্গন্ধের শেষ নেই। রেস্টুরেন্টের বাইরের চাকচিক্য দেখলে বোঝার উপায় নেই যে, এত নোংরা পরিবেশে তৈরি হয় এখানে পরিবেশিত খাবার।

পরিবেশ ও খাবার তৈরির উপাদান দেখে যেকারও চোখ কপালে উঠার কথা। এ খবর পেয়ে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারের স্বনামধন্য গাউছিয়া বেকারিসহ কয়েকটি খাদ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাব।

রোববার বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসনা শারমিন মিথি ও র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিকেল ৩টা থেকে টানা ৩ ঘণ্টা এ অভিযান চালানো হয়। এসময় ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

র্যাব জানায়, অভিযানকালে মিরপুরের গাউছিয়া বেকারিতে থাকা নষ্ট কেক, কেক তৈরির জন্য রাখা পচা ডিম ভেঙে ফেলা হয়। দীর্ঘদিনের জমে থাকা দুর্গন্ধযুক্ত নষ্ট তেল, বিস্কুট, কেক, গাড়ির পুড়া মবিল দিয়ে ভাজা চানাচুর, তেলের সঙ্গে মিশ্রিত পুড়া মবিল নষ্ট করে দেয়া হয়।

এ সময় বেকারির মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া পঁচাবাসী খাবার ও নষ্ট দই রাখার দায়ে নতুন ব্রিজ এলাকার বারাকা রেস্টুরেন্টকে ৫ হাজার, মিরপুর আরামবাগ রেস্টুরেন্টকে পাঁচা সবজি ও মাছ রাখার দায়ে ২০ হাজার, নষ্ট, পঁচাবাসী খাবার বিক্রি করায় জিসান বাংলা বেকারিকে ২০ হাজার ও মিরপুর আইসক্রিম ফ্যাক্টরিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসনা শারমিন মিথি জানান, অনেকগুলো সংস্থা রমজানকে সামনে রেখে প্রতিদিনই খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। তারপরও অতিলোভী ব্যবসায়ীরা তাদের স্বার্থ বজায় রেখে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করছে। পঁচাবাসী খাবার সাধারণ মানুষকে খাওয়াচ্ছে। অনেক রেস্টুরেন্টে বিএসটিআই অনুমোদনহীন খাবার রেখে প্রতারণা করছে মানুষের সঙ্গে। সুত্র: জাগো নিউজ

মতিহার বার্তা ডট কম ২৮ এপ্রিল ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply