শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
কৃষকের আয় বাড়াতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার

কৃষকের আয় বাড়াতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার

মতিহার বার্তা ডেস্ক : দেশের গ্রামাঞ্চলগুলোতে আগে দেখা যেতো কৃষকরা লাঙ্গল চষে জমিতে কাজ করছে কিংবা গরু দিয়ে হালচাষ করছে। আদিম কাল থেকে কৃষকরা এভাবেই বিভিন্ন উচ্চফলনশীল জমিতে চাষ করে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে আসছে। এরপর শিল্প বিপ্লবের পর বড় ধরণের পরিবর্তন আসতে শুরু করে কৃষি খাতে। গরুর গাড়ির সাথে নতুন করে যুক্ত হয় ট্রাক্টর, মইসহ অনেক কিছু। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কৃষি কাজে যুক্ত হয়েছে বহু অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। এমনও দেখা যায় যে কৃষকের কষ্ট করে ধান কিংবা গম কেটে আনতে হয় না। যন্ত্রপাতির সাহায্যে সংক্রিয়ভাবে ফসল কাটা হয়ে যায়। তবে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কৃষি খাতে এতো বেশি দূরে যেতে পারেনি। আমাদের দেশে এখনো বিভিন্ন জায়গায় গরু দিয়ে ধান চাষ হয়ে থাকে। এখনো হাতের সাহায্যে ধান কাটে এই দেশের কৃষকরা।

কৃষি এ দেশের অর্থনীতির এক অতি গুরুত্বপূর্ণ খাত। বর্তমানে দেশে জিডিপির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অর্জিত হয় কৃষি খাত থেকে। তার চেয়েও বড় কথা কৃষি এ দেশের জনমানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রদানের প্রধানতম এবং অন্যতম উৎস। এখনও এ দেশের বিপুল জনসংখ্যার কর্মসংস্থানও হয়ে থাকে কৃষিকে অবলম্বন করেই। ফলে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, জীবনযাত্রায় মানোন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হলে কৃষিক্ষেত্রে যে অধিকতর মনোযোগ দিতে হবে শুরুতেই ২০০৯ সনে নির্বাচিত হয়ে মহাজোট সরকার সেটি অনুধাবন করতে সক্ষম হয়। গত অর্ধ যুগ ধরে কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন খাতে যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা বর্তমান সরকারের কৃষি ভাবনার এক বাস্তব প্রতিফলন।

শুরুতেই খাদ্যশস্য উৎপাদনে গত অর্ধ যুগের ধারাবাহিক সাফল্যের কথা তুলে আনা যুক্তিসঙ্গত হবে। ২০০৮-২০০৯ সনে আমাদের চাল, গম ও ভুট্টার মোট উৎপাদন ছিল ৩৩৩.০৩ লাখ টন। এরপর থেকে প্রতি বছর খাদ্যশস্যের উৎপাদন বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধবনীতি ও কর্মকাণ্ডের ফলশ্রুতিতে ক্রমে বেড়েছে। গত ২০০৯-১০, ২০১০-১১, ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ সনে যথাক্রমে ৩৪৫.৯৬, ৩৬০.৬৫, ৩৬৮.৩৩৯ ও ৩৭২.৬৬ লাখ টনে উন্নীত হয়। আলু উৎপাদনের কথা যদি ধরা হয় তাহলে দেখা যায় যে, ২০০৮-০৯ থেকে ২০১২-১৩ সনে এর উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭.৪৬ লাখ টন থেকে ৮৬.০৩ লাখ টনে। এ সময়কালে পেঁয়াজ, গম ও সবজির উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে।

তবে কৃষকদের এই কষ্ট লাঘবের জন্য নতুন করে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। গ্রামের কৃষকদের জন্য উন্নতমানের যন্ত্রপাতি ক্রয় করে তাদের আয় বাড়ানোর কথা ভাবছে সরকার। আর এমনটিই জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

উন্নতমানের যন্ত্রপাতি ক্রয় করার ব্যাপারে মন্ত্রী জানান, আমাদের প্রধান অর্থনৈতিক মাধ্যম হচ্ছে কৃষি। কিন্তু কৃষি লাভজনক নয় বলে মানুষ কর দিতে পারে না। তাই কৃষি খাতকে অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের আয় বাড়িয়ে তাদের করযোগ্য করে স্থানীয় সরকারের আয় বাড়ানো সম্ভব।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাউকে পেছনে না রাখার বিষয়ে বর্তমান সরকার দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মতিহার বার্তা ডট কম –  এপ্রিল, ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply