শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
জাতীয় পর্যায়ে কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী

জাতীয় পর্যায়ে কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী

জাতীয় পর্যায়ে কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী
জাতীয় পর্যায়ে কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী

অনলাইন ডেস্ক: সাম্য ও মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ময়মনসিংহের ত্রিশালে শুরু হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার। এছাড়াও নজরুল একাডেমি মাঠে আয়োজন করা হয়েছে নজরুল মেলার। কবির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ত্রিশালে নির্মিত কবির স্মৃতিবিজড়িত স্মৃতিকেন্দ্রগুলোতে প্রাণচাঞ্চলতা ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন নজরুল প্রেমিরা।

ঘুনে ধরেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ব্যবহৃত খাটে। অচল গ্রামোফোন রেকর্ডটিও। এই দুইটি জিনিস ছাড়া নজরুল স্মৃতিকেন্দ্রগুলোতে সংরক্ষিত কিছু বই এবং দুর্ভল ছবি দর্শনার্থীদের মনকাড়তে পারেনি। তাই সারা বছরেই দর্শনার্থী শূণ্য থাকে এসব স্মৃতিকেন্দ্রগুলো। ২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪ তম জন্মবার্ষিকী ঘিরে স্মৃতিকেন্দ্রে প্রাণচাঞ্চলতা ফেরানোর দাবি স্থানীয়দের।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি রক্ষার্থে ২০০৮ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাজির শিমলা দারাগোবাড়ি ও বিচুতিয়া বেপারিবাড়িতে নির্মাণ করা হয় নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র। এই দুই স্মৃতিকেন্দ্রে সংরক্ষিত রয়েছে কবির ব্যবহৃত খাট ও গ্রামোফোন রেকর্ডটি। তবে সংরক্ষণের অভাবে ঘুনে ধরেছে খাটটিতে। অকেজো হয়ে পড়ে আছে গ্রামোফোন রেকর্ডটিও।

কাজী শাহাদৎ হোসেন বলেন, আমার দাদা কাজী রফিজউল্লাহ দারোগা ১৯১৪ সালে ভারতের আসানসোলের হোটেলের কর্মচারী কাজী নজরুল ইসলামকে ময়মনসিংহের ত্রিশালের কাজির শিমলায় নিয়ে আসেন। পরে দরিরামপুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি করান নজরুলকে। স্কুল কিছুটা দূরে হওয়ায় এখানে তিনমাস থাকার পর নজরুলকে বিচুতিয়া বেপারীবাড়িতে জায়গীর দেয়া হয়। নজরুল জায়গীর থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে চলে যান কুমিল্লায়। তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে ২০০৮ সালে দুইটি স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন করা হলেও অবকাঠামোগত তেমন উন্নয়ণ না হওয়ায় খুব একটা দর্শনার্থী আসছে না। নজরুল যে খাটটিতে ঘুমাতেন সেই খাটটি সংরক্ষণের অভাবে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ঘুনে খাটের বিভিন্ন অংশ ক্ষয়ে যাচ্ছে। এটি সংরক্ষণ করা হলে অন্তত আরো পঞ্চাশ বছর খাটটি দৃশ্যমান থাকত।

দর্শনার্থী মুকুল আহম্মেদ বলেন, সাম্য ও মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলাম। নামটির সাথেই আমাদের আবেগ অনুভূতি জড়িত। কিন্তু তাঁর স্মৃতিকেন্দ্রে এসে হতাশ হয়ে ফিরছি। কাজির শিমলা স্মৃতিকেন্দ্রের নিচতলায় রাখা নজরুলের একমাত্র ব্যবহৃত খাটটি সংস্কারের অভাবে ঘুনে ধরেছে। বিচুতিয়া বেপারীবাড়িতে নজরুলের গ্রামফোন রেকর্ডটিও অচল। এছাড়া এখানে দেখার মতো আর কিছু নেই। রয়েছে নজরুলের কিছু ছবি ও বই। নতুন প্রজন্মকে নজরুল সম্পর্কে জানাতে হলে স্মৃতিকেন্দ্রগুলোকে আরো আধুনিকায়ন করতে হবে।

নজরুল স্মৃতিকেন্দ্রের সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান মন্ডল বলেন, কবি নজরুলের ব্যবহৃত খাট, গ্রামফোন রেকর্ড ছাড়াও দুইটি স্মৃতিকেন্দ্রে দুর্ভল কিছু ছবি এবং বই রয়েছে। সাধারণ মানুষ এখানে এসে নজরুল সম্পর্কে জানতে পারছে। খাটটি সংস্কারের পাশাপাশি স্মৃতিকেন্দ্রগুলোকে আধুনিকায়ন করতে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে নজরুলের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলোতে মানুষের পদচারণা আরো বাড়বে।

জেলা প্রশাসক মো.মোস্তাফিজার রহমান বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী ১৯৬৩ সাল থেকে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে পালন করা হলেও ১৯৯০ সাল থেকে জাতীয় ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এবার ময়মনসিংহের ত্রিশালে ২৫ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী জাতীয় ভাবে অনুষ্ঠিত হবে কবি নজরুলের জন্মজয়ন্তী। কবি নজরুলের স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত দুইটি স্মৃতিকেন্দ্রসহ নজরুলের পদচারিত স্থানগুলো সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। আর এই স্থানগুলো সংরক্ষিত থাকলে নতুন প্রজন্ম কবি নজরুলকে জানতে আরো বেশি আগ্রহী হবে। এসব স্মৃতি রক্ষার্থে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply